বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

শতকরা ৩ ভাগ প্রণোদনায় অগ্রণী ব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রবাহে সাফল্যের গতি

এ এইচ এম জহিরুল ইসলাম
৩১ জুলাই ২০২০

বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনয়ন এবং প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ  দেশে পাঠাতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত শতকরা ২ ভাগ প্রণোদনার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।  চলমান করোনা মহামারি সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় আছে। সরকার ঘোষিত ২ শতাংশের সাথে আরো ১ শতাংশ যোগ করে মোট ৩ শতাংশ  প্রণোদনা ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের মধ্যে রেমিট্যান্স আনয়নে প্রথম অগ্রণী ব্যাংক, যার মেয়াদ ৭ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। 

প্রবাসী আয়ের উর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনার সুফল পাচ্ছে ব্যাংকটি। ব্যাংকের ফরেন রেমিট্যান্স এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়  জুন ২০২০ এ  রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০.০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ৩ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ঘোষণা দেওয়ার পর ২৭ জুলাই পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬৮.০০ মিলিয়ন ডলার, যা শতকরা ৪৪ ভাগ বেশি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  এফআর সিডির উপ-মহাব্যবস্থাপক রুবানা পারভীন জানান, ‘এমডি ও সিইও মহোদয় কর্তৃক ঘোষিত শতকরা ৩ ভাগ প্রণোদনা এবং গ্রাহক সেবায় আমাদের কর্মকর্তাদের আন্তরিক সেবার কারণেই এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।’ 

অপরদিকে অগ্রণী ব্যাংকের সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জ হাউজ রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে অগ্রণী এক্সচেঞ্জ হাউজ সিঙ্গাপুর এর মাধ্যমে মে মাসে পাঠানো রেমিট্যান্স ছিল ১১.৫৩ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার বা ৬৯ কোটি টাকা । কিন্তু  জুন মাসে  পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ  ২১.০০ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার বা ১২৭.০০ কোটি টাকা। আবার শতকরা তিন ভাগ প্রণোদনা দেওয়ার পর জুলাই মাসে তা হয়েছে ৩৪.৫ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার বা ২১০.০০ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুর থেকে আসা বাংলাদেশের বৈশ্বিক রেমিট্যান্স প্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ১২.৫৮ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার  বেড়েছে , সেক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংকের বেড়েছে  ৯.৯৫ মিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার। রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জ হাউজের সিইও এস এম শরীফুল ইসলাম বলেন,  ‘শতকরা ৩ ভাগ প্রণোদনা, ডরমেটরিতে যেয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহ এবং  রেমিট্যান্স আ্যপস ব্যবহারের কারণেই সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের এ উল্মফন সম্ভব হয়েছে।’

উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জ হাউজের কর্মকতারা সপ্তাহে ৫ দিন বিভিন্ন ডরমেটরিতে অবস্থান করা প্রবাসীদের কাছে স্বশরীরে যেয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে এনে তা দেশে পাঠান। আবার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শুরু হওয়া রেমিট্যান্স অ্যাপস ব্যবহার করেও সুফল পাচ্ছেন প্রবাসীরা।

এদিকে চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে  প্রবাসীরা ২.২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  প্রাপ্ত এ তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং মে মাসের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি ছিল । এখন চলতি মাসের ২৭ দিনেই রের্কড ভাঙল। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে ২৭ জুলাই পর্যন্ত । বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৩০ জুন  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে  তা পোঁছেছে ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

করোনা রোগীদের এইচএফএনসি দিল অগ্রণী ব্যাংক
বিটিইএ এর ওমেন্স স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত

আপনার মতামত লিখুন