শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাক্ষাৎকার

মো. রাফিউজ্জামান, নবনির্বাচিত সভাপতি, টোয়াব

বিদেশিদের আকর্ষণে বড় উদ্যোগ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ মার্চ ২০২০
মো. রাফিউজ্জামান

মো. রাফিউজ্জামান

দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) নবনির্বাচিত সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান। তিনি বলেন, দেশে স্থানীয় পর্যটকদের ভ্রমণ বহুগুণ বেড়েছে। এখন বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বড় উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ আদি ও অকৃত্রিমভাবে পর্যটনবান্ধব উল্লেখ করে স্ট্রেইটওয়ে ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউজ্জামান বলেন, এ দেশের জনসাধারণ অতিথিপরায়ণ। তাই পর্যটনের অবস্থা আরও ভালো হওয়ার কথা ছিল। মূল দুর্বলতা হচ্ছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এতদিন পুরোপুরি অনুভব করতে না পারা। এ জন্য দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বহির্বিশ্বে ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তবুও স্থানীয় পর্যটন ঈর্ষণীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। দেশের ট্যুর অপারেটর ও মানুষের চিন্তা-চেতনার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। গড়ে বছরে এখন পাঁচ লাখ বিদেশি পর্যটক আসছেন। এখন নজর দিতে হবে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে।
এ জন্য টোয়াবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আগের কমিটিতে প্রথম সহসভাপতির দায়িত্বে থাকা পর্যটন খাতের এই উদ্যোক্তা। বিদেশের বিভিন্ন মেলায় তারা অংশ নিচ্ছেন। দেশের অনেক পর্যটন গন্তব্যে নতুনত্ব আনতে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছেন। টোয়াব এ দেশের পর্যটনকে সব সময় ব্র্যান্ডিং করছে। এখন পরিস্থিতি ভালো বলেই অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে। সিলেট ও কক্সবাজারে বড় হোটেল ও রিসোর্ট হচ্ছে। এ খাত চমৎকার অবস্থানে না থাকলে বড় বিনিয়োগ হতো না।
নদী পর্যটনেও বড় সম্ভাবনা দেখছেন টোয়াব সভাপতি। তিনি বলেন, নদীমাতৃক এ দেশে এমন পর্যটনের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়ক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, সবার বড় চাওয়া কর সুবিধা। আগামী দিনে বড় বিনিয়োগ আসবে সমুদ্র পর্যটনে। সমুদ্রে জাহাজ ভ্রমণের দিকটি উন্মোচিত হলে সম্ভাবনা আরও বাড়বে। এগুলোতে বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ এ খাতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।

স্বপ্ন যখন বাস্তব
পর্যটন খাতের মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে

আপনার মতামত লিখুন