বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

চীনের অর্ডারের দুই ড্রিমলাইনার কিনছে বাংলাদেশ বিমান

অনলাইন ডেস্ক
১৭ অক্টোবর ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে অর্ডার দেওয়া দুই ড্রিমলাইনারের অর্ডার বাতিল করল চীন। বাণিজ্যযুদ্ধের জটিলতায় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশটি। তবে চীন না নিলেও এসব ড্রিমলাইনার এখন যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমানে। আর মাত্র তিন মাস পরই দুটি অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হতে পারে। চীনের হেইনান এয়ারলাইনস, মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে দুটি ৭৮৭-৯ মডেলের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিলেও এখন তারা তা কিনতে রাজি নয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর সে অনুযায়ী ঢাকায় সফররত বোয়িংয়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর নাগাদ এই উড়োজাহাজ দুটি বিমানের বহরে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই দুটি উড়োজাহাজ ছাড়াও বিমান কানাডা থেকে আরো তিনটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী বছর এগুলো বিমানবহরে যুক্ত হবে। আগে উড়োজাহাজ লিজ ও ক্রয় নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও এবার এ ব্যাপারে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করছে বিমান।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বোয়িং থেকে কেনা উড়োজাহাজ পেতে কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়। চুক্তির পরেই তারা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের জন্য সুনির্দিষ্ট মডেলের উড়োজাহাজ তৈরির কাজ শুরু করে। বোয়িংয়ের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সর্বশেষ বোয়িংটি বিমানে যোগ হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজ দুটি ডিসেম্বর মাসে দেশে এলে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি।

বিমানে যুক্ত হওয়া সর্বশেষ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ রাজহংস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বোয়িং শিগগিরই তাদের আরো দুটি উড়োজাহাজ বিক্রি করবে, কেউ এখনো অর্ডার দেয়নি, সুযোগটা তারা নেবেন। এরপর বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে ওঠে কিভাবে এই দুটি উড়োজাহাজ কেনা যায়।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, একটি ড্রিমলাইনারের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা। দর-কষাকষি করে বাজারমূল্য কমানোর চেষ্টা করছে বিমান কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে ঢাকা এসেছে বোয়িংয়ের একটি প্রতিনিধিদল। বোয়িংয়ের পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফার বৈঠকে দামের ব্যাপারে একটি বোঝাপড়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘বোয়িংয়ের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে। তারা একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। আমরা দুটি উড়োজাহাজ কিনতে চাই, যা বোয়িংয়ের সিয়াটল কারখানায় বিক্রির জন্য প্রায় প্রস্তুত। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো আসবে। চীনের এয়ারলাইনসটির চেয়ে কম দামে বিমান উড়োজাহাজ দুটি কিনতে পারবে বলে আশা করছি।’

মহিবুল হক জানান, এই উড়োজাহাজ কেনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চুক্তির বিস্তারিত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে যাতে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।

জানা যায়, ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ মডেলের একটি উড়োজাহাজ ৩০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারে। টানা ১৪ হাজার কিলোমিটার উড়তে সক্ষম এই উড়োজাহাজের দৈর্ঘ্য ২০৬ ফুট। ড্রিমলাইনার বিমানে ওয়াই-ফাই, মোবাইলে কথা বলা, ক্লাসিক থেকে ব্লকবাস্টার মুভি; বিভিন্ন ঘরানার মিউজিক, ভিডিও গেমসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। থাকবে টিভি চ্যানেলের লাইভ স্ট্রিমিং। বিমানটি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। এটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেবে। ফলে যাত্রীরা আকাশ থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যেকোনো স্থানে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

পর্যটন প্রচারে পাহাড়ি রাস্তায় ১২২ কিমি পথ বুলেট-সফর মুখ্যমন্ত্রীর
ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

আপনার মতামত লিখুন