শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

নরসিংদীর ব্ল্যাক টোব্যাকো থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকিকৃত সিগারেটসহ তামাক জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ মে ২০২১

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানী নামের একটি অবৈধ সিগারেট কারখানায় এবং গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-১১ এর একটি দল। অভিযানে সেনার গোল্ড স্ট্যাইল, বস, ও ব্ল্যাক এক্সএল ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেয়া অবৈধ সিগারেট, ১৯ হাজার ৭০০ পিস পুন: ব্যবহৃত  ব্যান্ডরোল এবং ২ হাজার ৭৩০ কেজি কাট টোব্যাকো জব্দ করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে সোমবার রাত ১২ টায় ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানিতে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১১’র একটি বিশেষ  দল।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, ব্ল্যাক টোবাকো কোম্পানী দীর্ঘদিন যাবত রাজম্ব ফাঁকি দিয়ে রি ইউজড ব্যান্ড রোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে । ফ্যাক্টরীর নিকটে কোম্পানীর গোডাউনে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকিকৃত অবৈধ সিগারেট এবং রি ইউজড ব্যান্ড রোল মজুদ রেখেছে। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে র‌্যাব-১১ এর একটি  দল অভিযান পরিচালনা করে ব্ল্যাক টোবাকো কোম্পানীর সিগারেট ফ্যাক্টরী এবং গোডাউন হতে ১১ কার্টুন রি ইউজড ব্যান্ডরোল, বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেট ও কাট টোব্যাকো উদ্ধার করে। 

অভিযানের বিষয় জানতে চাইলে র‍্যাব-১১ নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও কলকারখানার কোনো লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করে আসছিলো ব্ল্যাক টোব্যাকো কোম্পানী।”

স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় উল্লেখিত আলামত জব্দ করা হয়। এ ব্যপারে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ডিভিশন নরসিংদীর বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘‘বেশকিছু দিন ধরে কোম্পানিটি রি ইউজড ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন করে আসছিলো। ভ্যাট আইনের অধিনে কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ সহ সারাদেশে এরকম অসংখ্য অবৈধ সিগারেট কোম্পানীর মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া নতুন নতুন সিগারেট কোম্পানীর সংখ্যা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা সত্ত্বেও নরসিংদীর মেঘনা টোব্যাকো, কিশোরগঞ্জের হ্যারিটেজ টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর মতো অনেক অবৈধ টোব্যাকো কোম্পানী বহাল তবিয়তে রাজস্ব ফাঁকিকৃত অবৈধ সিগারেট উৎপাদন ও বিপনন কার্যক্রম দিনে দিনে বৃদ্ধি করে চলেছে। এই সকল রাজস্ব ফাঁকিকৃত অবৈধ সিগারেট  কোম্পানীর ভ্যাট লাইসেন্স বাতিল করার জোরালো দাবি উচ্চারিত হচ্ছে সর্বমহলে।

কবিতায় সবুজ ধ্বংসের প্রতিবাদ জানালেন চপল মাহমুদ
ঈদে বাড়ি ফিরতেই হবে, বাহন হিসেবে বেছে নিলেন বাইসাইকেল

আপনার মতামত লিখুন