শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

আসুন পথিক, এইতো নীলাচল

ডেস্ক রিপোর্ট
১৮ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলার ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দ। এই আনন্দ যে শুধু খাবারদাবারে তা কিন্তু নয়, বরং নতুন পোশাকের ঘ্রাণ নাকে জড়িয়ে ঘর থেকে না বের হলে কি ঈদের সত্যিকার আনন্দ উপভোগ করা যায! আর তাইতো ঈদের আনন্দকে আর ব্যঞ্জনাময় করে তুলতে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটছেন পছন্দের বিনোদন স্পটগুলোতে। ফলে এই সময়ে প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেই সৌন্দর্যপিপাসুদের ভিড়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা দেশের অন্যতম পাহাড়ি জেলা বান্দরবান। বান্দরবারনকে বলা হয় বাংলাদেশের পাহাড়ি কন্যা। আর এই বান্দরবান শহরের অন্যতম সুন্দর পর্যটন স্পট সম্ভবত মেঘের দেশ খ্যাত ‘নীলাচল’। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬শ’ ফুট উঁচু এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ। এছাড়া এখানে দাঁড়িয়ে দূর থেকে দেখা যায় বান্দরবান শহর আর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাঙ্গু নদী।আঁকা-বাঁকা উঁচু-নিচু পাহাড়ের শরীর বেয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ উঠে গেছে নীলাচল পাহাড়ের চূড়ায়। হেঁটে উঠতে দম ধরে রাখা মুশকিল। তাই ভরসা গাড়িই। প্রবেশপথের মূল গেটের ভেতর গাড়ি ঢুকলেও এটা গেটের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কাজ চলছে ডরমেটরি তৈরির। একমাত্র রেস্টুরেন্টটি খুলে যাবে শিগগিরই। নতুন দু’টি ওয়াচিং স্পট নির্মাণ শেষ। সব মিলিয়ে নতুন রূপে সাজছে বান্দরবান শহর থেকে সবচেয়ে কাছের ও অন্যতম সুন্দর পর্যটন স্পট নীলাচল।প্রায় একশো একর জায়গার উপর অবস্থিত নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র। জেলা প্রশাসন এটি দেখভালের দায়িত্বে। জেলার পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ যে ক’টি স্পটকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম মেঘের আঁচলে ভাসা পাহাড় চূড়া নীলাচল।

নীলাচলে সম্প্রতি নতুন কয়েকটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। প্রথমে চূড়ায় একটি সুদৃশ্য গোলঘর নিয়ে শুরু করলেও দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা, বসা ও আড্ডা দেওয়ার জন্য তৈরি বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি পাহাড়ের উত্তর কিনারের ঢালে নির্মিত হয়েছে তিনটি রুচিশীল আধুনিক ইন্টেরিয়রের কটেজ।২০১৫ সাল থেকে তিন বছরের জন্য ১৭ লাখ টাকায় ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন পাহাড়ে ঝুলছে। এর ঠিক পাশ দিয়ে পুব প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে একটি ওয়াচ পয়েন্ট। এনডিসি নিজেই পরিকল্পনা করে করেছেন এটি। সঙ্গে রয়েছে তার নেশার বিভিন্ন গাছ লাগানো।পশ্চিম প্রান্তের শেষে তৈরি হচ্ছে একটি ডরমেটরি। এখানের ৪১টি রুমে থাকতে পারবেন প্রায় শতাধিক পর্যটক। তবে এক্ষেত্রে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কম খরচে বেশি মানুষ থাকতে পারারা বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মুজাহিদ। এর কিছু আগে পাহাড়ের শরীরে ঝুলছে একটি ভিভিআইপি কটেজ। দু’টি রুম এতে।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের গেস্ট হাউজটি পরিত্যক্ত। এটা ছাড়াই ডরমেটরি তৈরি হয়ে গেলে নীলাচলে আবাসনের ব্যবস্থা হবে প্রায় ১২০ জন মানুষের। ডরমেটরিটি জেলা প্রশাসন বানাচ্ছে একেবারেই সাধারণ মানুষের জন্য।নীলাচল থেকে পাখির চোখে দেখা যায় সবুজের ফাঁকে গলে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বান্দরবান শহর। পূর্ণিমা রাতেও এর রূপ অপরূপ। সূর্যাস্তও দেখা যায় এখান থেকে। পরিবেশও সুন্দর পরিপাটি গোছানো। যা এক মুহূর্তেই আপনার মনে রোমাঞ্চকর দোলা দিয়ে যাবে।

ঘুরে আসুন খুলনার মনোরম স্পটগুলোতে
শনিবার চার জেলায় চালু হচ্ছে ভারতীয় ভিসা সেন্টার

আপনার মতামত লিখুন