বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

মুসলিম বিশ্বের আকর্ষণীয় কিছু পর্যটনকেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

এই পৃথিবীর নানা জায়গায় আছে রহস্যঘেরা ও সৌন্দর্যমণ্ডিত সব পর্যটনকেন্দ্র। কিছু সৌন্দর্য মানুষের তৈরি হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। সুশোভিত ও নয়নাভিরাম এমন কিছু স্থান নিয়ে লিখেছেন মুফতি মুহম্মদ মিনহাজ উদ্দিন

সাদা মরুভূমি, মিসর

আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে পরিচিত একটি নাম মিসরের ‘সাদা মরুভূমি’। এই মরুভূমির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগে পাঠককে চিনতে হবে মরুভূমি ‘ফারাফ্রা’কে। এই মরুভূমির কিছু কিছু জায়গায় খেজুরের বাগানসহ চোখে পড়বে আয়নার মতো স্বচ্ছ পানিযুক্ত ছোট ছোট জলাধার। আরও আছে জলপাই, অ্যাপ্রিকট গাছও। মিসরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এ মরুভূমিটি ব্যাপক জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এই এলাকায় ছোট একটি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বেদুইনের বসবাস। গাছপালা থাকার কারণে মরুভূমির পাশেও গ্রামবাসীর আশ্রয়ের জন্য খুব একটা ভাবতে হয় না। গ্রামের চারপাশে ১শটিরও বেশি কুয়া আছে যার পানিতে চলে কৃষিকাজ। গ্রামের খুব কাছে ‘বির সেট্টা’ নামে একটি সালফার মেশানো উষ্ণ প্রস্রবণ (ভূগর্ভ থেকে প্রাকৃতিকভাবে বেরিয়ে আসা এক ধরনের উষ্ণ ঝরনাধারা) আছে। এখানে সাঁতার কাটার আনন্দই অন্য রকম। এই আনন্দের অংশীদার হতে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা নানা সময় আসেন এখানে।

এবার আসা যাক ‘সাদা মরুভূমি’র কথায়। এটির অবস্থান ফারাফ্রা থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে। মরুঝড় এবং কালান্তরের আঘাত সয়ে এখানকার কোথাও কোথাও ধবধবে সাদা আর ক্রিম রঙের বিশেষ ক্যালসিয়াম-পাথর তৈরি হয়েছে। এদের নাম ভেন্টিফ্যাক্ট। এখানে আরও আছে অসাধারণ মসৃণ চুনাপাথরের আকর। খোলা প্রান্তরে দানবীয় কাঠামোগুলোর প্রকৃতি দর্শনার্থীদের জন্য বহু বছর ধরে আশ্চর্য এক রহস্য হয়ে আছে। এই কাঠামোগুলোর বেশ সুন্দর কিছু নাম আছে। যেমন-মাশরুম, আইসক্রিম, টেন্ট, মনোলিথ ইত্যাদি।

ব্লু সিটি, মরক্কো

জাদুকরী ও চোখ ধাঁধানো সিটির অবস্থান মরোক্কোতে। আটলান্টিকের পাড়ে মরক্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ব্লু সিটি। শহরটির মূল নাম শেফশাওয়ান। উত্তর মরক্কোর রিফ পর্বতমালার খুব ছোট্ট আর সুন্দর শহর শেফসাউয়েন। এই শহরের বাড়িঘরের দেয়াল, দরজা ও রাস্তাঘাট সব নীল রঙে রাঙানো বলে একে ‘ব্লু পার্ল অব মরক্কো’ও বলা হয়। নীল রঙে ঘরবাড়ির দেয়াল ও রাস্তাঘাট রাঙানো এই শহরের বাসিন্দাদের ঐতিহ্য। বাড়িগুলো নীল হওয়ার পেছনে আছে একটি ইতিহাস। মূলত ১৯৩০ সালে এই নীল বাড়িগুলো তৈরি করে ইহুদি উদ্বাস্তুরা। তাদের মতে, নীল রং আকাশ আর স্বর্গের প্রতীক। আত্মিক জাগরণ নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন এমন মানুষদেরও উপস্থাপন করত এই নীল রং। বাড়িগুলোর নীল রং দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে। আর্দ্র অবস্থায় শেফসাউয়েন দেখতে নীল পানির পৃথিবীর মতো লাগে। স্থাপত্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা বিচিত্র এই নগরের বাসিন্দারা ইহুদিদের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান বলে সবাই নিজ নিজ বাড়ি নীল রং করে রাখেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে নীলাভ এই রঙের কারণে শহরে মশার সংখ্যাও বেশ কম। ছবির মতো সুন্দর এই শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বাস। ছিমছাম এবং ঐতিহাসিক এই শহরটিতে থাকার ব্যবস্থা বেশ ভালো। এখানে আরও আছে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে আর বেশ কিছু দোকান।

পামুক্কালা, তুরস্ক

তুরস্কের পামুক্কালা এলাকাটি অপার সৌন্দর্যের এক আধার। প্রথম দর্শনে এই জায়গাটি দেখে মনে হতে পারে এটি বরফের পাহাড়। তবে এটি আসলে পাহাড় নয়। পাহাড়ি এই উপত্যকাটি প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণে সমৃদ্ধ। এই লবণগুলোই জমাট বেঁধে বেঁধে চুনাপাথরের প্রাসাদ গড়ে তুলেছে। এই জায়গায় থাকা ছোট ছোট কিছু লেকের কারণেই জায়গাটি দারুণ আকর্ষণীয়। অপূর্ব এই জায়গাটির অবস্থান তুরস্কের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দেনিজলি প্রদেশে। আজিয়ান সাগরে গিয়ে মিশেছে তুরস্কের মেন্দেরেস নদী। এই নদীর উপত্যকাতেই হিয়েরাপোলিসের ধ্বংসাবশেষের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে এই তুষারশুভ্র বিস্তীর্ণ জলাভূমি পামুক্কালে। তুর্কি ভাষায় পামুক্কালের অর্থ হলো ‘তুলোর প্রাসাদ’।

পামুক্কালে সৃষ্টির গল্প প্রায় এক হাজার বছর পুরনো। তুরস্কের দিঞ্জিল অঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে মাটিতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ফাটল দিয়ে মাটির নিচের ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভর্তি গরম পানি বাইরে বেরিয়ে আসত। সেই পানি বাষ্প হয়ে শুধু ক্যালসিয়াম কার্বনেটের স্তর জমা হতো। ধীরে ধীরে এই ক্যালসিয়াম কার্বনেট জমে লেকগুলোর কাঠামো তৈরি হয় আর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয় ছোট ছোট জলাধার। এরপর থেকে যুগ যুগ ধরে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ এই প্রবাহ রূপ নেয় তুষারের মতো শ্বেতশুভ্র ঝরনার পাহাড়ে। এই জলাধারগুলো নিয়ে দারুণ একটি কথা প্রচলিত আছে। বলা হয়, এই লেকগুলোর পানিতে গোসল করলে যৌবন ধরে রাখা যায় আর কোনো রোগও হয় না। খনিজ লবণে পরিপূর্ণ বলে এই লেকগুলোর পানি বেশ উষ্ণ এবং আরামদায়ক।

মদিনাতুস সালেহ, সৌদি আরব

ইসলামিক সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য ‘মদিনাতুস সালিহ’ একটি চমৎকার গন্তব্য। দর্শনার্থীরা এখানে প্রাচীন যুগের সৌদি আরবকে আবিষ্কার করতে পারবেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত সামুদ জাতির বসবাস ছিল এই এলাকায়। সে সময় এখানকার পরিবেশ ছিল চমৎকার। মিষ্টি পানিরও কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু তারা মিথ্যাচার, ব্যভিচার, মূর্তিপূজাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। তখন আল্লাহর প্রেরিত তৎকালীন নবী সালেহ (আ.) তাদের প্রতি আল্লাহর দাওয়াত দেন। কিন্তু তারা সালেহ (আ.) এর কথা শুনতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা ইমান আনার জন্য বিভিন্ন শর্ত দেয়। আল্লাহর নবী সেগুলো পূর্ণ করেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরও তারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস আনেনি। বরং আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে পাঠানো উট হত্যা করে। এর তিন দিন পর তাদের ওপর অভিশাপ নেমে আসে। প্রথম দিনে সমস্ত সামুদ জাতির মুখ হলুদ হয়ে যায়। পরদিন সবার মুখ রক্তের মতো লাল হয়ে যায়। শেষ দিনে সবার মুখ গভীর কালো বর্ণ ধারণ করে। এরপর প্রচণ্ড ঝড়, বজ্র ও ভূমিকম্প আসে এবং তাতে সমগ্র সামুদ জাতি সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। সামুদ জাতি ছিল পূর্ববর্তী আদ জাতির বংশধর। আদ জাতিও মহান আল্লাহর বিরোধিতা করে ধ্বংস হয়ে যায়। তারাও মদিনাতুস সালেহতে বসবাস করত। আল্লাহর বিরোধিতা করে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই জাতির ইতিহাস জড়িয়ে আছে এসব এলাকায়। এই জায়গাগুলো দেখতে বহু পর্যটকের আগমন ঘটে সেখানে।

দুমাতুল জান্দাল ও জেদ্দা, সৌদি আরব

দুমাতুল জান্দাল সৌদি আরবের আল-জাওয়াফ প্রদেশে অবস্থিত। দেশটির বেশ প্রাচীন জায়গার মধ্যে এটি একটি। দুমাতুল জান্দালের পরিবেশ বেশ রুক্ষ ও প্রাণহীন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এক সময় এই পুরো এলাকাটিতে মনুষ্য বসতি ছিল। কিন্তু কালক্রমে এই পরিবেশ পরিবর্তিত হয়ে যায়। এখানকার পরিত্যক্ত প্রাসাদগুলোতে তখনকার সভ্যতার ছাপ দেখা যায়। প্রাচীন উমর ইবনুল খাত্তাব মসজিদের অবস্থান এই এলাকায়। মসজিদটির পাশের বড় রাস্তাটি দিয়ে বিভিন্ন দেশের বণিক-পর্যটকরা যাতায়াতের সময় মসজিদে নামাজ পড়তেন।

সৌদি আরবে অসংখ্য প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে মানবজাতির মা হাওয়া (আ.) এর কবর অন্যতম। জেদ্দার আল-বালাদ এলাকায় বেশ কিছু প্রাচীন কবরস্থানের মাঝে একটি কবরের পাশে লেখা রয়েছে ‘আমাদের সবার মা হাওয়া’। একসময় এই কবরটি ১২০ মিটার লম্বা, ৩ মিটার চওড়া ও ৬ মিটার উঁচু ছিল।

জেদ্দা সুপরিচিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ ঝরনার জন্যও। জেট প্রপেলারের সাহায্যে পরিচালিত এই ঝর্না সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫৩ ফুট উচ্চতায় পানি নিক্ষেপ করতে পারে। লোহিত সাগরে অবস্থিত এই চমৎকার ঝর্না পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। ঝর্নায় ব্যবহার করা হয় সাগরের নোনা পানি। রাতের বেলা ঝর্নার পানিতে বিভিন্ন রঙের আলো সংযু ক্ত করা হয়। জেদ্দার প্রায় সব জায়গা থেকেই এটি দেখা যায়।

কনস্টান্টটিন, আলজেরিয়া

২০১৫ সালে আরব-সংস্কৃতির রাজধানী নির্বাচিত হওয়া শহরটির নাম আলজেরিয়ার কনস্টান্টটিন। শহরটি ‘দ্য সিটি অব ব্রিজেস’ নামেও পরিচিত। আরবিতে একে বলা হয় ‘বালাদুল হাওয়া’। আলজেরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটিকে ঘিরে রেখেছে রোমেল নদীর উপকূলীয় সৌন্দর্য। বেশ কয়েকটি সুউচ্চ পাহাড় ও চিত্তাকর্ষক উপত্যকায় ছেয়ে আছে পুরো শহর। শহরের দুই অংশের সংযোগস্থলে রয়েছে অনন্য সুন্দর সেতু। শহরটির হৃদয়কাড়া দৃশ্যাবলি যে কোনো দর্শনার্থীকেই সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বিমুখ করে না।

মালে, মালদ্বীপ

স্বর্গীয় সৌন্দর্যের লীলাভূমি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু দেশ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেশটির সর্বোচ্চ উচ্চতা ২.৩ মিটার। শহরটি প্রায় ৫.৮ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে অবস্থিত। মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় ও অন্যতম জনপ্রিয় স্থান রাজধানী মালে। মালদ্বীপের সবচেয়ে জনবহুল এই দ্বীপটি বিশ্বেরও অন্যতম জনবহুল শহর। এর আরেক নাম ‘কিংস আইল্যান্ড’। আপনি যদি মালে ঘুরতে যান আর যদি হাতে খুব বেশি সময়ও না থাকে তবুও মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুরো শহর ঘুরে দেখা সম্ভব। হুকুরু মস্ক, মালে মাছ বাজার, মালে জাতীয় জাদুঘর ও মুলি আজ প্যালেস মালের অন্যতম জনপ্রিয় কিছু স্থান। প্রবাল পাথর দিয়ে নির্মিত ‘ওল্ড ফ্রাইডে মসজিদ’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপত্য ভবন। মালের বানানা রিফকে বলা হয় বিশ্বের সেরা ডাইভিং সাইটগুলোর মধ্যে একটি। এটি মালদ্বীপের আবিষ্কৃত প্রথম ডাইভিং সাইট। এই সাইটের অপর আরেকটি নাম ‘গথুগিরি’। সাইটটি মূলত সমুদ্র গর্ভে অবস্থিত তিনশ মিটার দীর্ঘ একটি প্রবাল প্রাচীর। বানানা রিফ নামকরণের কারণ হচ্ছে, ওপরের দিক থেকে এর আকৃতি। চোখ ধাঁধানো নানা রং ও বিভিন্ন আকৃতির কোরাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মেলে বানানা রিফে। যারা ডাইভিং ভালোবাসেন তাদের জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ একটি জায়গা এটি। ডাইভিংয়ের আরও একটি সাইটের নাম হচ্ছে বিয়াধু আইল্যান্ড। দক্ষিণ মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই আইল্যান্ডটি মালদ্বীপের সর্বোত্তম প্রাকৃতিক দৃশ্যের দ্বীপ। এই দ্বীপে ডাইভিং সাইট আছে ৩৫টিরও বেশি। মালদ্বীপকে ডাইভিংয়ের জন্য আদর্শ মানা হয়।

দর্শনীয়তা ও নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশটির পরিচিতি ‘এক ঋতুর দেশ’ নামে। নানা ধরনের সংস্কৃতি, জীবনধারা, সবুজ অরণ্য নিয়ে পরিপূর্ণ এই দেশ।

মালয়েশিয়ার ‘তামান নেগারা’ বা ‘জাতীয় উদ্যান’ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্ট। বৃহদাকৃতির নানা ধরনের গাছের পাশাপাশি এখানে দেখা মেলে প্রচুর ঝরনা আর জলপ্রপাতের। জঙ্গলের মনোরম পরিবেশে আছে ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও। আরও আছে চাঁদের আলোয় ঢাকা পৃথিবীর দীর্ঘতম পায়ে হাঁটার উপযোগী পথ। এশিয়ার বুক থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের জন্য তামান নেগারাকে স্বর্গ বলা হয়।

৪ হাজার ৯৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতের নাম ‘মাউন্ট কিনাবালু’। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে এটি অন্যতম। এই জায়গাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে মেঘের আচ্ছাদনে এটি ঢাকা থাকে। দর্শনার্থীরা যখনই একে দেখতে আসেন তখনই তাদের মাঝে মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে যায়।

২০০৪ সালে ‘তাইপে ১০১’ নির্মাণের আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। এখনো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার এটি। মুসলিম সংস্কৃতির প্রতিফলন নিয়ে গঠিত ৮৮ তলা বিশিষ্ট এই ভবন। মালয়েশিয়ার পর্যটকদের কাছে আরও একটি দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান গুনুং মুলু ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত ‘মুলু কেভস’ নামক একটি গুহা। পার্কটি অবিশ্বাস্যভাবে অনেকগুলো গুহা দিয়ে ঘেরা। এই ভূগর্ভস্থ গুহাগুলোর একটিতে পাওয়া সরওয়াক গুহাপ্রকোষ্ঠটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎগুহাপ্রকোষ্ঠ। বলা হয়ে থাকে, এর প্রকোষ্ঠের আকার এতই বিশাল যে, এর ভেতরে অনায়াসে ৪০টি বোয়িং-৭৪৭ উড়োজাহাজ রাখা যেতে পারে।

বেড়াতে গিয়ে খাই স্বাস্থ্যকর খাবার
নিরাপদ ভ্রমণের দোয়া-আমল

আপনার মতামত লিখুন