বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

সিলেটে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ

ঢেলে সাজানো হচ্ছে সিলেটের পর্যটন স্পটসমূহ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ নভেম্বর ২০১৯

সিলেটে আধুনিক এবং যুগোপযোগী ও পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে নেয়া হয়েছে উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপার সম্ভাবনার জেলা ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত পুণ্যভূমি সিলেটেই দেশের বেশির ভাগ পর্যটন স্পট । এসব পর্যটন স্পটসমূহের মধ্যে সিংহভাগেরই অবস্থান সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটে। জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, ফাটাছড়া মায়াবতী ঝর্ণাপান্তমাই ঝর্ণা, দামারি জলারবনের মতো নানা মনোলোভাময় পিকনিক স্পট রয়েছে গোয়াইনঘাটে। প্রতিদিনই গোয়াইনঘাটে ঢল নামে হাজারো পর্যটক দর্শনার্থীর। গোয়াইনঘাটে দিন দিন বাড়ছে পর্যটক স্রোত।

ব্রান্ডিং নাম ”প্রকৃতিকন্যা সিলেট” ঘোষণার পর সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত স্থানগুলোকে আরো আকর্ষণীয় ও পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়।

সর্বত্রই গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন ও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ। সিলেটের অপরাপর গোয়াইনঘাটে অবশেষে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠছে। এখানেও চলছে পর্যটনকে বিকশিত করার প্রয়াস। বড় বড় প্রকল্প নিয়ে সরকারের তরফে গড়ে উঠছে পর্যটন অবকাঠামোগত নানা স্থাপনা। পিয়াইনের স্বচ্ছ জলারাশি, নুড়ি পাথরের কলকল শব্দে প্রকৃতিকন্যাখ্যাত জাফলং, বিছনাকান্দি, কিংবা ফাটাছড়া মায়াবতীর পাহাড় গড়িয়ে পড়া ঝর্ণাধারায় মনের আনন্দে আত্মহারা ঘুরতে আগন্তুক পর্যটকের ক্ষণিকের প্রশান্তির নির্মল পরিবেশ গড়ে তুলতে এগিয়ে এসেছে সরকার।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি যাতায়াত ও আইনশৃঙ্ক্ষলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গৃহীত কর্মসূচি এগিয়ে চলছে সমান তালে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হওয়ার কারণে জাফলংসহ পর্যটন স্পটসমূহে বেড়েছে পর্যটক দর্শনার্থীদের আনাগোনা। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটকস্রোত কমেনি বরং বেড়েছে বহুগুণ। জাফলং, বিছনাকান্দি, মেঘালয়ের পাদদেশে জাফলং, ফাটাছড়া মায়াবতী ঝর্ণা, দেশের একমাত্র মিঠা পানির সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুল জলারবন, পান্তুমাই, বাংলাদেশের একমাত্র সমতল জাফলং চা বাগান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (আদিবাসি খাসিয়া সম্প্রদায়) বসবাসের দৃষ্টিনন্দন সবক’টি পুঞ্জী, রোপায়িত সারি সারি পান-সুপারির বাগান রক্ষা করাসহ পর্যটন স্পটগুলোকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে আগেকার রূপে। এ নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। জাফলংসহ পাথর কোয়ারিগুলোতে চলা পরিবেশ বিধ্বংসী যন্ত্রদানব বড় বড় সবক’টি বোমা মেশিনের তাণ্ডবলীলা বন্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা আর পাথরখেকোদের আগ্রাসনসহ তাণ্ডবলীলা স্থায়ীভাবে বন্ধকরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে জাফলংকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকারের তরফে ইতিপূর্বে জাফলংকে আগেকার অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সৌন্দর্য্যবর্ধন ও রূপলাবণ্যতাকে ধরে রাখতে পাহাড়, টিলা কাটা বন্ধ, পর্যটন স্পটসমূহের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক বনায়নের আওতায় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। প্রশাসন তরফে ইতিপূর্বে জাফলং সংগ্রাম বিজিবি’র অদূরে ২ হাজার গাছের চারা লাগানো হয়েছে। জাফলং, বিছনাকান্দিসহ চোরাবালি সমৃদ্ধ নদীতে পানিতে ডুবে সাঁতার না জানা পর্যটকদের মৃত্যুহ্রাসে সড়ক, মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং স্পটসমূহের বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও হ্যান্ডমাইকে প্রশাসন তরফে সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা নেয়ায় কমেছে পর্যটকদের অকাল মৃত্যুর ঘটনাও। ঈদ, পূজাসহ সরকারি বিভিন্ন ছুটিতে জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের পর্যটনসমূহে ঢল নামে হাজার হাজার পর্যটক দর্শনার্থীদের। এ সময় ঘুরতে আসা পর্যটক, দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে পুরো গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটগুলো। লোকে লোকারণ্য আর যানজটে আবদ্ধ থাকে পুরো এলাকা এমনকি সবক’টি রাস্তাঘাট, সড়ক মহাসড়কও। এমতাবস্থায় পর্যটন স্পটসমূহে বাড়তি মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগকে। এ সময় কখনো উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবার কখনো বা থানা অফিসার ইনচার্জকে হ্যান্ডমাইক হাতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিজেই মাইকিং করতে দেখা যায়।

গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে আসা পর্যটক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জাফলং, বিছনকান্দি, রাতারগুলের পর্যটকদের সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসনে খোলার পাশাপাশি নির্মিত হচ্ছে একাধিক ই-তথ্য কেন্দ্র। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রতিটি পর্যটন স্পটে ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপনের। পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য পাবলিক টয়লেট, পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পার্কিং লন, জাফলংয়ে পর্যটকদের পায়ে হেঁটে নিচে নামতে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি সিঁড়ি এবং রাতারগুলে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পৃথক দুটি সিঁড়ি নির্মিত হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ওয়াশব্লক (পাবলিক টয়লেট) স্থাপিত হয়েছে। সবক’টি পর্যটন স্পটে একাধিক পয়েন্টে সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপিত হয়েছে। ইতিপূর্বে পর্যটকসহ আগন্তুকদের রাত্রিযাপনে সরকারিভাবে নলজুরি, জাফলং, বল্লাঘাটের জেলা পরিষদ বাংলো ও রেস্ট হাউজের পাশাপাশি সংগ্রাম বিজিবি ফাঁড়ির অদূরে সড়ক ও জনপথের পরিদর্শন বাংলো, গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ১টি ৩ তলাবিশিষ্ট বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নির্মিত পর্যটন মোটেল স্থাপিত হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগেও বেশক’টি আবাসিক হোটেল ও দৃষ্টিনন্দন কটেজ গড়ে ওঠেছে। একান্ত আলাপচারিতায় গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটের আধুনিকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ব্যাপারে বিস্তারিত জানান গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল।

জানা যায়, ২০১৮ সালকে সরকারিভাবে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার পর ট্যুরিজম বোর্ডের বরাদ্দ থেকে বাস্তবায়িত হয়েছে বেশক’টি প্রকল্প।

জাফলংয়ে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্নের পর এবারও পর্যটন অবকাঠামোগত খাতে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে বরাদ্দও হয়েছে  ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ট্যুরিজম বোর্ডের বরাদ্দে প্রকল্প সমূহের মধ্যে আছে রাতাগুল সোয়াম ফরেস্ট এলাকায় ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সাব মার্জিবল রাস্তা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মেরামত কাজও বাস্তবায়িত হবে। গোয়াইনঘাটের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও সাজিয়ে তুলতে অচিরেই রাতারগুল ও বিছনাকান্দিতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে দুটি আধুনিক মোটেল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই লক্ষ্যে বিছনাকান্দি পর্যটন এলাকার সরকারি গোচারণ শ্রেণির ভূমি থেকে ১০ একর এবং রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট এলাকায় সরকারি খাসজমি থেকে ১ একর ভূমি বরাদ্দের জন্য রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রশাসনের নানামুখী কর্মসূচির আওতায় পদক্ষেপসমূহের ধারাবাহিকতায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফটোগ্রাফারদের বাছাই করে কর্মবিন্যাসে যুক্তকরণ, হ্যান্ডবোট ও গাইডদের বাছাই ও সবক’টি পর্যটন স্পটে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগসহ এ খাতে কর্মজীবীদের প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটকদের আগমন ও নিরাপদ প্রস্থানে থানা পুলিশ বিভাগও সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তামাবিলে একটি পুলিশ ফাঁড়ি, পর্যটন স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক ফাঁড়ি স্থাপিত হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম এবং থানা পুলিশের তৎপরতা এবং নজরধারী বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি পর্যটন স্পটসমূহের পয়েন্টে পয়েন্টে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি পুলিশের অভিযানও বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় তীরখেলা, জুয়ারদান, ৩ কার্ড নামক জুয়াখেলা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিরোধ ও পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন এবং আরামদায়ককরণে ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং থানা পুলিশের তরফে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। সরকারের পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে গোয়াইনঘাটে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুততায় এগিয়ে চলছে। অচিরেই এর সুফল ভোগ করবেন পর্যটকরা।

পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, উপকারভোগী হবেন গোয়াইনঘাটবাসীও। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ ও পর্যটন পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখ জানান, গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশের নজরদারী ও টহল জোরদার করা হয়েছে। ফলে ৩ কার্ড, ভারতীয় তীরখেলা, জুয়ারদানসহ চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিতে পড়ে পর্যটকদের সর্বস্ব লুটে নেয়ার ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। অপরাধ দমনে জিরো ট্রলারেন্স নীতি থেকে সর্বোপরি পর্যটক নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের কার্য়ক্রম অব্যাহত আছে। গোয়াইনঘাটসহ জেলার পর্যটন সম্ভাবনাকে রক্ষা এবং আধুনিকায়ন করার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হলে  সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম জানান, সিলেটের পর্যটন সম্ভাবনা সারা দেশের মধ্যে আলোচিত। দেশে পর্যটনের কথা ভাবলে জনগণ সবার আগে সিলেটকে প্রাধান্য দেয়। তাই সিলেটই দেশের জনগণের কাছে জনপ্রিয় স্থান। তাই অবসর কিংবা পারিবারিকভাবে চিত্তবিনোদনে ভ্রমণপিপাসুরা সিলেটে পাড়ি জমান। তিনি বলেন, সিলেটের ব্রান্ডিং নামও এখন “প্রকৃতিকন্যা সিলেট”। একটি পর্যটন জেলা হিসেবে সিলেটকে সারা দেশ এমনকি বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকৃষ্ট করতে সরকারের প্রতিনিয়ত নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটসমূহেও অনুরূপ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এরই আওতায় প্রথমেই আমরা বিছনাকান্দিকে বেছে নিয়েছি, এবং সেখানে পর্যটন সম্ভাবনাকে আরো পর্যটকবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এ ব্যাপারে একটি প্ল্যান তৈরি করেছেন। প্ল্যান তৈরির কাজ শেষ হলেই আমরা বিছনাকান্দিকে অবকাঠমোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবো। ইতিপূর্বে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের বঙ্গবীর-হাদারপার সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে সবক’টি পর্যটন স্পটসমূহকে ঢেলে সাজিয়ে পর্যটকবান্ধব ও জনপ্রিয় করে তুলতে সিলেট জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এব্যাপারে সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, গোয়াইনঘাটসহ সিলেটকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে পর্যটন ও পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তুলতে সরকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অত্যন্ত আন্তরিক এবং দ্রুত এ বিষয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অবকাঠমোগত উন্নয়নসহ সড়ক যোগাযোগ আধুনীকিকরণসহ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

পর্যটন খাতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

আপনার মতামত লিখুন