শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

লক্ষ্মীপুরের জমিদার বাড়িতে হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

লক্ষ্মীপুরে তিনশ' বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়াসাগর দীঘিকে কেন্দ্র করে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ও পর্যটন কেন্দ্র হতে যাচ্ছে।

এতে জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্প উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো নিয়েই প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হান্নান মিয়া দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়াসাগর দীঘি পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নে অবস্থিত তিনশ' বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি। এটি দালাল বাজার জমিদার বাড়ি নামেই পরিচিত। বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে জমিদার বাড়িটি দর্শণার্থীদের দারুণ আকর্ষণের স্থান।

জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে দালাল বাজারের পাশেই ১৪ একর সম্পত্তিতে রয়েছে পরিত্যক্ত রাজগেট, জমিদার প্রাসাদ, অন্দরমহল, শান বাঁধানো ঘাট, জমিদার বাড়ির প্রাচীর, নির্মাণসামগ্রী; বিশেষ করে কয়েক টন ওজনের লোহার বিম, বিরাট আকার লোহার সিন্দুক, নৃত্যশালা, বহিরাঙ্গন ও চারটি পুকুর।

সাজানো গোছানো বাড়িটি দেখলে জমিদারের নান্দনিক রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। সাড়ে সাত একর জমির উপর তৈরি বাড়িটির ভেতরে চারটি পুকুর, সাতটি ভবন ও একটি বিশাল বাগান রয়েছে।

এদিকে জমিদার বাড়ি যাওয়ার সময় রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই ২৫ একর জমির উপর রয়েছে খোয়াসাগর দীঘি। শীতকালে এই দীঘিতে অতিথি পাখির কলতানে দৃষ্টি কাড়ে সবার।

ধারণা করা হয়, জমিদার রাজ ব্রজবল্লভ রায় মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে দীঘিটি খনন করেন। এই দীঘি নিয়ে নানা কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। খোয়াসাগর দীঘির অপরপাশে রয়েছে প্রায় দুইশ' বছরের পুরনো চারটি মঠ।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক হান্নান মিয়া জানান, দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়াসাগর দীঘি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপযুক্ত একটি স্থান। চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই দালাল বাজার জমিদার বাড়ির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর থেকে সরকারের কাছে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প দাখিল করা হবে। এরপর সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করলে পুরোদমে কাজ শুরু করা যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) ড. মো. আতাউর রহমান, লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রশিদ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও রিফাত হোসেন প্রমুখ।

সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের পাস উন্মুক্তের দাবি বোট মালিকদের
বেহাল সেন্টমার্টিন জেটি

আপনার মতামত লিখুন