শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ হচ্ছে লাল কাঁকড়ার অভয়াশ্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ মে ২০২১

ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথভাবে বাস্তবায়িত ইউ এস এ আই ডি অর্থায়িত ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগিতায় ৮ মে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এবং কুয়াকাটা ট্যুর ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের লাল কাঁকড়া সংরক্ষণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে কাঁকড়ার অভয়াআশ্রম।

দেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের অন্যতম আকর্ষণ লাল কাঁকড়া। সৈকতের লেম্বুর বন ও গঙ্গামতি পয়েন্টে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়। পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ, শব্দ দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন বিশেষ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে লাল কাঁকড়ার প্রাচুর্য দিন দিন কমে যাচ্ছিল।

ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথভাবে বাস্তবায়িত ইউ এস এ আই ডি অর্থায়িত এ প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটার পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পর্যটকদের সচেতন করতে চালানো হচ্ছে নানা প্রচারণা। নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে সৈকতের ময়লা আবর্জনা।

লাল কাঁকড়া সংরক্ষণে সৈকতের লেম্বুর বন ও গঙ্গামতি পয়েন্টের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে নির্মাণ হয়েছে অভয়াআশ্রম। এ প্রসঙ্গে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুযার বলেন, লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের পাশাপাশি সৈকতের পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নানা উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

ইকোফিশ-২ প্রকল্পের গবেষণা সহকারী সাগরিকা স্মৃতি বলেন, উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে লাল কাঁকড়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এ ছাড়া প্রকল্পের সহযোগিতায় কাঁকড়ার পাশাপাশি কচ্ছপেরও অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হচ্ছে।

বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ, পরিচালনাকারীরা উদ্বেগে
স্বপ্ন এখন নতুন বাজারে

আপনার মতামত লিখুন