শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

এবার জেলে পর্যটন পরিকল্পনা! দিন কাটানোর সঙ্গে দেখা পেতে পারেন ছোটা রাজনদেরও

অনলাইন ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০১৯

এশিয়ার সব থেকে বড় জেলখানার ভিতরের পরিস্থিতি কি নিজের চোখে দেখতে চান। কীভাবে কাটছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসিন ভাটকল কিংবা গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের। সব নিজের চোখে পরখ করে দেখতে খরচ পড়বে ২০০০ টাকা। সবই সম্ভব হবে যদি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জেল ট্যুরিজমের পথে যায়।


জেলে যাওয়ার জন্য কোনও অপরাধ নয়, কিংবা বেল থেকে ছাড়া পাওয়া নয়। যদি তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তৈরি করা জেল ট্যুরিজম দিনের আলো দেখে, সবই চলে আসবে সাধার মানুষের সামনে। জেলের ভিতর কারও দাঁড়িয়ে থাকা, বসে থাকা, কিংবা ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য। এর আগে জানা গিয়েছিল, শুধুমাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে যে কেউ তিহারে সেল বুক করতে পারবেন। কিন্তু ফিডব্যাক পাওয়ার পর সেই পরিকল্পনাকে কিছুটা উন্নত করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। একেবারে আলাদা একটা জায়গায় থাকার থেকে, বন্দিরা কীভাবে জীবন ধারন করছেন, সেই চিত্রই সাধারণকে দেখাতে চায় জেল কর্তৃপক্ষ। এশিয়ার বৃহত্তম এই কারাগার রয়েছচে প্রায় ৪০০ একর জমির ওপর। যেখানে বন্দির সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। যার মধ্যে রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী থেকে বিচারাধীন বন্দি, সবাই। পর্যটকরা চাইলে দিন যাপনের অনুমতিও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে মেঝেয় ঘুমনো, সাত সকালে উঠে পড়া, রান্না করা, গম ভাঙানো, ঘর পরিষ্কার করা, যোগার অভ্যাস করা, মেডিটেশন, পেন্টিং সবই পরখ করে দেখতে পারবেন। যা প্রতিদিন করে থাকেন সেখানকার বন্দিরা। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বন্দিকে পর্যটকদের কমপ্লেক্সে থাকতে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে জেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর এমনটাই।


জেলের মুখপত্র জানিয়েছেন, প্রোজেক্ট ফাইল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে। অপর এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টিকে দিল্লি ট্যুরিজমের অংশ করা হতে পারে।

লক্ষ্মীপুরের সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দীঘি
পর্যটন খাতে পড়ে আছে অপার সম্ভাবনা

আপনার মতামত লিখুন