বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

বিশ্বকাপের পরও অব্যাহত থাকবে কাতারের পর্যটন উন্নয়ন

অনলাইন ডেস্ক
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রথমবারের মত ২০২২ সালে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসবে কাতারে। প্রথমবারের কোন মুসলিম সংখ্যাপরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে দেশটির সরকারকে কম দৌড়ঝাপ করতে হয়নি।

এতবড় ক্রীড়াজজ্ঞ আয়োজনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও স্টেডিয়াম নির্মাণে দেশটির সরকার ইতোমধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ফেলেছে।

আর এই ইভেন্ট দিয়ে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে দৃঢ় অবস্থান গড়ার আশাবাদী কাতার কর্তৃপক্ষ। তাই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দেশটির সরকার এখন পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং প্রচারণার পরিকল্পনা করছে।

কাতার জাতীয় পর্যটন কাউন্সিলের (কিউএনটিসি) সেক্রেটারি জেনারেল এবং কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকবর আল বাকের বলেছেন, “বিশ্বকাপ আয়োজন পর্যটকদের আকৃষ্ট করার একটি মোক্ষম সুযোগ। কিউএনটিসি এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের কর্মযজ্ঞের সময় কাতারি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের দিকে মনোনিবেশ করবে যাতে বিশ্বকাপটি দেখতে আসা বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে তাদের উপস্থাপন করা হয়।”

               কাতার ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ -এর জন্য নিমির্ত অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম

“কাতারে আরো অধিক সংখ্যক পর্যটক আকর্ষনের জন্য প্রচারমূলক কর্মসূচী গড়ে তোলা হবে এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পরও কাতারের পর্যটন খাতের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে”, তিনি যোগ করেন।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) আয়োজিত ২০২২ দোহা ফোরামের ‘বহুপাক্ষিক বিশ্বের পর্যটন সাফল্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এক অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

কাতারের পক্ষ থেকে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পর্কিত প্রকল্পগুলি ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে এইচ এল আল বাকের বলেন, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিশ্বের সাথে ভাগাভাগি করবে।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, কাতারের এই জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার উচ্চ প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। আরব উপসাগরীয় কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে একই সময়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, খেলাধুলা বিভিন্ন দেশের মানুষকে একত্রিত করে যা আরব উপসাগরীয় কাপের আয়োজন থেকেই প্রমাণিত। যেহেতু কাতার বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত পর্যটন এখানে একটি বিশাল সম্ভাবনাময় শিল্প। তবে অতীতে এই দিকে কাতারের নজর ছিল না তাই পর্যটন স্থানগুলি সর্বোত্তমভাবে বিকশিত হয়নি। তবে কাতার এখন বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে দৃড়ভাবে আবির্ভাবের চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালে অবরোধের ঘোষণার পরে সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও কাতারে পর্যটন খাত এন্ট্রি ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৮০ টিরও বেশি দেশ থেকে পর্যটকদের গ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করে এই নেতিবাচক প্রভাবটি কাটিয়ে উঠেছে।

কাতার এয়ারওয়েজ বিশ্বজুড়ে কাতারকে তুলে ধরতে তাদের পরিকল্পনা, কৌশলগত উদ্ভাবন ও প্রচার অব্যাহত রেখেছে। কিছু পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে এটি প্রতিযোগীদের মধ্যে একমাত্র বিমানসংস্থা যা ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

চীনে হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক পর্যটন উৎসব
বিদেশের সতর্কবার্তা, আশঙ্কায় পর্যটন

আপনার মতামত লিখুন