শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সীমানার ওপারে

বিশ্বের দীর্ঘতম পায়ে হাঁটার ঝুলন্ত সেতু উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক
০১ মে ২০২১

পর্তুগালে পাথর বেষ্টিত পর্বত আর হলুদ ফুলে ছেয়ে যাওয়া সবুজ অরণ্যের নতুন আকর্ষণ হিসেবে সংযোজিত হলো প্রায় ৫১৬ মিটার দীর্ঘ এই সেতু। দ্রুত গতিসম্পন্ন জলস্রোতের নদী পাইভা থেকে ১৭৫ মিটার উপরে ঝুলছে এটি।

পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুর উদ্বোধন করেছে পর্তুগাল। দেশটির উত্তরাঞ্চলের ইউনেস্কো স্বীকৃত প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত বনভূমি আরোকা জিওপার্ক উপত্যকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১৬ মিটার।

পাথর বেষ্টিত পর্বত আর হলুদ ফুলে ছেয়ে যাওয়া সবুজ অরণ্যের নতুন আকর্ষণ হিসেবে সংযোজিত হলো ঝুলন্ত এই সেতু। দ্রুত গতিসম্পন্ন জলস্রোতের নদী পাইভা থেকে ১৭৫ মিটার উপরে ঝুলছে এটি।

সেতুটির ধাতব জালির মধ্য দিয়ে নিচে বয়ে যাওয়া নদী ও আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য স্পষ্ট দেখতে পাবেন পর্যটকরা। নিশ্চিতভাবেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করবে এই যাত্রা।

রোববার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে আরোকার আশেপাশের শহর থেকে মানুষজন এসে সেখানে জড়ো হতে থাকেন। উদ্বোধনের আগেই বৃহস্পতিবার তাদের চলাচলের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।

সেতুটি প্রথম পার হওয়ার সাহস দেখান হুগো জেভিয়ার। তিনি বলেন, 'প্রথমে আমি খানিকটা ভয় পেয়েছিলাম। তবে আমার সেই ভয় বৃথা যায়নি। পুরো বিষয়টি অসাধারণ ছিল। এ রকম অভিজ্ঞতা আমার আগে হয়নি। চরম উত্তেজনা আর আতঙ্কে অ্যাড্রেনালিন রাশের সৃষ্টি হয়েছিল।'

সেতুটিতে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন রুই ব্রান্দাও। তিনি সবাইকে দারুণ এই অভিজ্ঞতা উপভোগের পরামর্শ দিলেও সেতুতে চলার সময় ভয়ে নিচে তাকাতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন।

'আমি আপনাকে অবশ্যই এখানে ঘুরে যাওয়ার পরামর্শ দিব। এমনকি আপনার যদি আমার মতো উচ্চতাভীতি থাকে, তবু,' বলেন ব্রান্দাও।

সেতুটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণ অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন আরোকার মেয়র মার্গারিডা বেলেম। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের 'মূল আকর্ষণ' সৃষ্টি করেছে এই সেতু।

নতুন এই স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছে আরোকা ৫১৬।

আরোকার পাইভা নদী কেন্দ্র করে আগে থেকেই পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য আট কিলোমিটার দীর্ঘ কাঠের ট্রেইল রয়েছে। নতুন এই সেতু সেই ট্রেইলকেও অতিক্রম করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই অঞ্চলের অর্থনীতি এখন বিপর্যস্ত। সেতুটিকে কেন্দ্র করে নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র জমে উঠলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুর খেতাব ছিল সুইজারল্যান্ডের চার্লস কুনেন সেতুর দখলে। ২০১৭ সালে নির্মিত ৪৯৪ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর সেই রেকর্ড ভেঙে দিল 'আরোকা ৫১৬'।

পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বিপাকে গাড়িচালক-হেলপাররা
মালয়েশিয়া ভ্রমণে ছাড়পত্র-নোটিশ লাগবে না

আপনার মতামত লিখুন