শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
গাঁও গেরাম

সরকারি নিষেধাজ্ঞায় রাঙামাটি পর্যটক শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ মার্চ ২০২০

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে শহরের রাঙামাটি পার্ক, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, বেরাইন্যা, বরগাং, সুভলং ঝর্নাসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পর্যটক শূন্য। এ কারনে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা অলস সময় পার করছেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাঙামাটির সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

রাঙামাটি হোটেল মোটেল ব্যবসায়ী নিয়াজ আহমেদ জানান, করোনাভাইরাসের কারনে স্থানীয় প্রশাসন সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করার ফলে রাঙামাটি পর্যটন শূন্য হয়ে গেছে। অথচ সময়টা পর্যটন মৌসুম। পর্যটক না থাকায় আর্থিক ক্ষতি হলেও দেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা এই ক্ষতি মেনে নিয়েছি।

পর্যটন ঘাট ইজারাদার রমজান আলী বলেন, মৌসুমের শুরুতে ভালোই পর্যটক ছিল রাঙামাটিতে। হঠাৎ করোনাভাইরাসের কারনে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আজ (১৯ মার্চ) থেকে পর্যটক শূন্য। আমাদের সাময়িক ক্ষতি হলেও এই সময়ে সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আজ আমাদের ঘাট থেকে কোন বোট সুবলং ঝর্নায় যায়নি।

রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে দায়িত্বরত এসআই আলমলীর হোসেন জানান, সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পার্ক বন্ধ রেখেছি। এই মুহূত্বে আমরা কাউকে পার্কে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না।

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের উপ-ব্যবস্থাপক আলী আজম বলেন, এই সময়টাতে পর্যটক মুখর থাকে কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে এখন একদম ফাঁকা। আমরা কাউকে রুম বুকিং দিচ্ছি না।

তিনি আরো বলেন, এটি সরকারের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। পর্যটক না এলে ব্যবসায় তো ক্ষতি হচ্ছেই কিন্তু যেহেতু আমরা সমস্যা আছি তাই সবাই মিলে এর মোকাবেলা করতে হবে।

করোনা : থানচি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন
সাভারের সব বিনোদন পার্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

আপনার মতামত লিখুন