শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন লাকসামের ইউনুস

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়া লাকসামের ইউনুস মিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়া লাকসামের ইউনুস মিয়ার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন আরেকজন ক্রেতা। তিনি হলেন কুমিল্লার লাকসাম থানার দক্ষিণ বাকই ইউনিয়নের বড়ইগাও গ্রামের ইউনুস মিয়া। দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটনের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭’ এর আওতায় এ সুবিধা পেয়েছেন ইউনুস।

সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজা লাকসাম শাখায় ইউনুস মিয়ার হাতে ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর সুমন কিবরিয়া এবং ওয়ালটন প্লাজা সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চাঁদপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার নূরে আলম সিদ্দিকী। 

অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। 

কোরাবানির ঈদ উপলক্ষে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন ৭-এ দেওয়া হয়েছিল এ সুযোগ। সেসময় সারা দেশে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছে অসংখ্য ক্রেতা। ফলে বরাবরের মতো এ ঈদেও ফ্রিজ বিক্রিতে শীর্ষে ওয়ালটন। ফ্রিজসহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি এবং ব্যাপক গ্রাহকচাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে ওয়ালটন। ক্রেতাদের জন্য মিলিয়নিয়ার, লাখপতি ও নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ বিভিন্ন সুবিধাও চলমান রয়েছে।

ইউনুস মিয়া জানান ওয়ালটন প্লাজা লাকসাম শাখা থেকে মাত্র ২৩ হাজার ৪০০ টাকায় একটি রেফ্রিজারেটর কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। তিনি বলেন, জীবনে এতো বড় পুরস্কার পাবো বলে কোনোদিন আশা করিনি। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া এ ১০ লাখ টাকা আমার জীবনে আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। এ টাকায় এখন আমার তিন মেয়েকে বিয়ে দেবো। বাকি অর্থ দিয়ে গ্রামে একটা দোকান দেবো। সংসারে এবার সুখের দিন আসবে। এজন্য ওয়ালটনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। 

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। আর এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। 

ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ বাড়ল
৫ মাস পর খুললো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

আপনার মতামত লিখুন