সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো তাইওয়ান

 নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ আগস্ট ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক সফলতা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশেই বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান তা উপহার দিচ্ছে। এবার করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো রিপাবলিক অব চায়না (তাইওয়ান)। এসব সরঞ্জামের মধ্যে আছে—ভেন্টিলেটর, পিপিই, ফেস মাস্ক, গগলস, শিল্ড ইত্যাদি।
বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সূত্রে ওই চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো দিয়েছে তাইওয়ান। যা ওয়ালটন ও তাইওয়ানের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করেন তাইওয়ান ও ওয়ালটনের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ওয়ালটন এবং তাইওয়ান এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (টিএআইটিআরএ)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. নূর-উর-রহমান, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ঢাকাস্থ তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের পরিচালক তিমথি ডব্লিউ ডি সো, ম্যানেজার রঞ্জন চক্রবর্তী, এইচডব্লিউএ ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রয় সু, হাউ আর ইউ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিউ শুয়ান চু প্রমুখ।
ওয়ালটনের মাধ্যমে তাইওয়ানের দেওয়া চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর মধ্য আছে—১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১ হাজার ৬০০ এন৯৫ মাস্ক, ২০ হাজার কাপড়ের মাস্ক, ১০ হাজার ফেস শিল্ড, ৫০০ পিপিই, ২০০ গগলস এবং ২ সেট ভেন্টিলেটর।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরিতে ওয়ালটন ওয়ার্ল্ড-ক্লাস। করোনা মোকাবিলায় ওয়ালটন দেশের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। এর আগেও তারা নিজস্ব উদ্যেগে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। তারা বিপদে বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। ওয়ালটনের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।’
স্বাস্থ‌্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওয়ালটন বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস দুর্যোগে তারা মানুষের কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। এজন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করা যায় এবং সেগুলো রপ্তানি করা যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি করা যায়, ওয়ালটন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরিত করার এ অসাধারণ কাজ ওয়ালটনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।’
করোনা দুর্যোগের মধ‌্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোয় মন্ত্রীগণ রিপাবলিক অব চায়না (তাইওয়ান) এবং দেশটির প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।

উদয় হাকিমের উপস্থাপনায় ত্রিবেণীর আজকের অতিথি আবৃত্তিকার তোহা-কণ্ঠশিল্পী দোলা
৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন

আপনার মতামত লিখুন