শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

দেশে ই-কমার্স বড় সম্ভাবনাময় খাত: ওয়ালকার্ট এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ জুলাই ২০২১
‘ইম্প্যাক্ট অব ই-কমার্স অন এসএমই’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা

‘ইম্প্যাক্ট অব ই-কমার্স অন এসএমই’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা

‘আমরা একটি মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যা প্রত্যেকের জীবনে বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে সবার। এই দুর্যোপূর্ণ সময়ে ই-কমার্স ডায়নামিক সল্যুশন হিসেবে কাজ করতে পারে। দেশব্যাপী এখন ই-কমার্সের জয়জয়কার। করোনাকালে লক্ষ করা গেছে এসএমই খাতের ব্যাপক অগ্রগতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যেক্তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে এ করোনাকালে খুব সহজেই বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছেন। সহজেই তাদের সার্ভিস পৌঁছে দিতে পারছেন দেশের আনাচে-কানাচে। দেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা তাই ব্যাপকতর হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই, ২০২১) ‘ইম্প্যাক্ট অব ই-কমার্স অন এসএমই’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও ওয়ালকার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের মধ্যে উঠে আসার টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। এ নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন এই মিশনে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চায়।’

সাবিহা জারিন অরনা আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে টার্গেট করে যাত্রা শুরু করছে ওয়ালকার্ট। তরুণদের জন্য কিছু করাই আমাদের টার্গেট। ওয়ালকার্ট একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ক্ষুদ্র ও মাঝারি—সব ধরনের শিল্প উদ্যেক্তাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করছি, তারা এখান থেকে উপকৃত হবেন। এই মার্কেটপ্লেসে ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব পণ্যই থাকবে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। ভালো একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমরা।’ বাংলাদেশে শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

‘ইম্প্যাক্ট অব ই-কমার্স অন এসএমই’ শীর্ষক ওয়েবিনারে কথা বলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও ওয়ালকার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা

বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) আয়োজনে এ ওয়েবিনার হয়। এসএমই খাতের ওপর ই-কমার্সের প্রভাব নিয়ে আয়োজিত ওই ওয়েবিনারে এ খাতের নানা সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন আলোচকরা। করোনাকালে এসএমই খাতের ব্যাপক অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছে ওয়েবিনারে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে এসএমই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে পর্যাপ্ত নীতিসহায়তার আহ্বান জানান তারা।

আলোচকরা জানান, ই-কমার্স খাতকে শক্ত কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা করতে এ খাতে দরকার প্রযুক্তিগত ও পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা। এ সহায়তা পেলে করোনাকালে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যেক্তারা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিবিএফের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ এ খান।

অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, ওয়ার্ল্ডট্রাকের চেয়ারম্যান ও সিইও কায়সার হাবিব প্রমুখ।

ঈদে ওয়ালটনের নতুন অর্ধশতাধিক মডেলের ফ্রিজ
হোটেল-মোটেল থিম পার্ক পাচ্ছে প্রণোদনা, পর্যটন খাতের বড় অংশই থাকছে বঞ্চিত

আপনার মতামত লিখুন