ওয়ালটন কর্মীদের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প শুরু

মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদসহ অন্যরা
ওয়ালটন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শুরু হলো ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ স্লোগানে শনিবার (১৪ মে, ২০২২) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এ মেডিক্যাল ক্যাম্প হয়। ওয়ালটনের টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগ ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’র সৌজন্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পটি পরিচালনা করে জাপানভিত্তিক শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল। আয়োজনে ছিল ওয়ালটন অ্যাডমিনেস্ট্রেশন এবং মেডিক্যাল টিম।
শনিবার সকালে মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, প্রধান চিকিৎসক ইয়াজদান রেজা চৌধুরী, শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের ডেপুটি ডিরেক্টর কাশিমা কোহেমি প্রমুখ।
মেডিক্যাল ক্যাম্পে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাসেবা দেন শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎকসক ড. ইসমত জাহান, ড. নুরুল ইসলাম, ড. মানতাসা তাসনিম এবং ড. কামরুজ্জামান। ফ্রি চেকআপ ও টেস্টের মধ্যে ছিল ইসিজি, গ্লুকোজ, ব্লাড প্রেসার এবং বিএমআই।
ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনার জন্য শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের সাসটেইনেবল ইনিশিয়েটিভ ‘‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’’র মাধ্যমে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের কিভাবে ভালো রাখা যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। ওয়ালটন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ মেডিক্যাল ক্যাম্প। সামনে এ বিষয়ে আমাদের আরও অনেক কার্যক্রম আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শরীর সুস্থ না থাকলে কাজে মনোযোগ আসে না, কাজ করতে ভালো লাগে না। আমরা যারা ডেস্ক জব করি, বডি মুভমেন্ট না করার কারণে নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের নিয়মিত শারীরিক চেক-আপ করা দরকার। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সুস্থ থাকার জন্যই সেটা করা প্রয়োজন।’
মানসিক সুস্থতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। মেন্টাল হেলথ নিয়ে আমরা যেন সচেতন থাকি। নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা আমরা যেন মন থেকে সরিয়ে দেই। শরীর ও মন উভয়ই যদি সুস্থ থাকে, তবে আমরা যে প্রতিষ্ঠানেই কাজ করি না কেন, দেশকে এগিয়ে নিতে কোনো বাধা থাকবে না।’
কাশিমা কোহেমি বলেন, ‘শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল একটি নতুন উদ্যোগ। তাই, যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে আমরা পৌঁছাতে চাই। তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে চাই। ওয়ালটন বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। সবাই ওয়ালটনের পণ্য সম্পর্কে জানে এবং সার্ভিস নিয়ে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
দিনব্যাপী মেডিক্যাল ক্যাম্পে ৫ শতাধিক ওয়ালটন কর্মী চিকিৎসাসেবা নেন।
আপনার মতামত লিখুন