শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

২০২৫ সালের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির লক্ষ্য ওয়ালটনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা ও বিক্রি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির লক্ষ্য নিয়েছে ওয়ালটন। লক্ষ্য অর্জনে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের প্রোডাকশন প্ল্যান্টে যুক্ত হচ্ছে ইলেকট্রিক এবং সোলার ক্যাবলসের দুটি বৃহৎ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট।

ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের ‘ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৩’-এ এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ‘সাফল্যের পথে চলি একসাথে’ স্লোগানে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেড কোয়ার্টার্সে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে অংশ নেন ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের পাঁচ শতাধিক ডিলার বা পরিবেশক। সম্মেলনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের ব্যবসায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়িক পার্টনারদের মতামত নেন এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

বেলুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে ব্যবসায়িক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং বিশেষ অতিথি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ রায়হান, আরবি গ্রুপের সিইও শোয়েব হোসেন নোবেল, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, মো. আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, মো. ইউসুফ আলী, ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, মো. ফিরোজ আলম, সোহেল রানা, মো. ইয়াসির আল-ইমরান, এস এম জাহিদ হাসান ও নিজাম উদ্দীন মজুমদার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্বনামধন্য অভিনেতা আজিজুল হাকিম, জিনাত হাকিম, মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোহসিন মোল্লা, ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের উপদেষ্টা ওমর ফারুকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালনায় ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।

শনিবার সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়্যান্সের ডিলাররা হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছান। তাদের আগমনে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। সম্মেলন উপলক্ষে তৈরি করা হয় সুবিশাল সম্মেলন কক্ষ। নির্মাণ করা হয় সুদৃশ্য মঞ্চ। বর্ণিল ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয় কারখানা প্রাঙ্গণ।

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে এসে প্রথমেই অতিথিরা বিভিন্ন পণ্যের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। তারা ওয়ালটনের বিশ্বমানের এলিভেটর, এলইডি লাইট, সুইস-সকেট, সিলিং ফ্যান, রিচার্জেবল ও টেবিল ফ্যানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এরপর মূল মঞ্চে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বিস্তারে ওয়ালটনের ব্যবসায়িক পার্টনারদের অবদান অপরিসীম। ডিলারদের সার্বিক সহযোগিতায় বিশ্বের একটি শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হতে যাচ্ছে ওয়ালটন। পরিবেশকরাই আমাদের সব সাফল্যের প্রধান অংশীদার।

সম্মেলনে ডিলারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। তিনি বলেন, ওয়ালটনের বর্তমান সাফল্য একদিনে আসেনি। ওয়ালটনের এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন আমাদের পরিবেশকরা। ডিলারদের মাধ্যমে দেশব্যাপী ওয়ালটন পণ্যের ব্যাপক প্রচার সম্ভব হয়েছে। ঘরে ঘরে সহজেই পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের পণ্যসমূহ ব্যাপক রেভিনিউ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) সোহেল রানা বলেন, দেশব্যাপী আমাদের আছে ৮০০ ডিস্ট্রিবিউটর এবং ৩০ হাজারের বেশি রিটেইলার। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমে ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রিতে ওয়ালটনের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। আমাদের এই টার্গেট ডিস্ট্রিবিউটরগণ সফলভাবে পূরণ করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। লক্ষ্য অর্জনে আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। চলতি বছরই ইলেকট্রিক এবং সোলার ক্যাবলসের দুটি বৃহৎ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে।

ওয়ালটনের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রয়ে অসামান্য অবদান রাখায় সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের সেরা ডিলারদের পুরস্কৃত করে ওয়ালটন। পুরস্কারের মধ্যে আছে—নেপাল, মালয়েশিয়া ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের বিমান টিকেট। এছাড়াও আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ মোট ৪৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়।

সম্মেলন শেষ হয় আনন্দঘন গেম শো, র‌্যাফল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধা দিয়ে দেশের শীর্ষ সেলস নেটওয়ার্ক হওয়ার প্রত্যয় ওয়ালটন প্লাজার
বাণিজ্য মেলায় সেরা ইনোভেশন ও সেরা স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

আপনার মতামত লিখুন