শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

মৃত ক্রেতার পরিবারকে লাখ টাকা সহায়তা দিলো ওয়ালটন প্লাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ মার্চ ২০২৩

মৃত কিস্তি ক্রেতার পরিবারকে লাখ টাকা সহায়তা দিলো ওয়ালটন প্লাজা। তার নাম মশিউর রহমান। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা ছিলেন। ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় এয়ার কন্ডিশনার কিনে কয়েকটি কিস্তি পরিশোধ করার পর আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মশিউর। এর প্রেক্ষিতে ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ আওতায় তার কিস্তি মওকুফ এবং পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ওয়ালটন প্লাজা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। 

জানা গেছে, মৃত ক্রেতা মশিউর রহমানের পরিবারের স্থায়ী নিবাস দক্ষিণ বনশ্রীর কে-ব্লকে। গত বছরের ১৮ মার্চ দক্ষিণ বনশ্রীর ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে ক্রিস্টালাইন সিরিজের ১.৫ টনের একটি এসি কেনেন মশিউর। তার কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ড নাম্বার ৪৪৯০১০১৩৫২৫২১০৭২। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হৃদরোগে মারা যান তিনি। দুই ছেলেসহ ৫ সদস্যের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মশিউরের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ে তার পরিবার। অচল হয়ে পড়ে সংসারের চাকা।

এ অবস্থায় ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। মৃত কিস্তি ক্রেতা মশিউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা। এর থেকে কিস্তির অবশিষ্ট ৩৬ হাজার ৪৭৬ টাকা পরিশোধের পর তারা পেয়েছেন নগদ ৬৩ হাজার ৫২৪ টাকা। ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এই সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মশিউরের পরিবার।

বুধবার (১ মার্চ) ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে মশিউর রহমানের স্ত্রী হাসিনা হক সাথীর হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ওয়ালটন কর্মকর্তারা। সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. আল আমিন সরকার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আবু নাসের প্রধান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, প্লাজার ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান এবং ওয়ালটন প্লাজা দক্ষিণ বনশ্রীর ম্যানেজার জান্নাতুল ইশরাত অন্তরাসহ রামপুরা এরিয়ার বিভিন্ন প্লাজার ম্যানেজারগণ।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের এতসব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা জানতেন না হাসিনা হক সাথী। তিনি বলেন, পণ্যের মান ভালো হওয়ায় এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় বাসায় ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের এসিটি কেনেন আমার স্বামী। আমাদের বাসায় অন্য ব্র্যান্ডের এসিও রয়েছে। কিন্তু দেশে তৈরি পণ্য ব্যবহারের আগ্রহ আমাদের অনেক দিনের। তাই ওয়ালটনের এসি কেনা হয়েছে। এসিটি সার্ভিসও দিচ্ছে ভালো।

স্বামীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের উপার্জনের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান হাসিনা। তিনি বলেন, এই টাকা পাওয়ায় অনেক উপকার হলো। ওয়ালটনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিস্তির টাকা আর পরিশোধ করা লাগছে না জেনে স্বস্তি পাচ্ছি আমরা। তারওপর অনেকগুলো টাকা পেলাম। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এই সহায়তার টাকা ব্যবসায়ের কাজে ব্যয় করবো।

ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. আল আমিন সরকার বলেন, ওয়ালটনের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কিস্তিতে পণ্য কেনায় ওয়ালটনের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা আরও বেশি বাড়ছে। এই উদ্যোগের ফলে মৃত ক্রেতার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারছে ওয়ালটন প্লাজা। ইতোমধ্যেই অনেক গ্রাহকের পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।

দক্ষিণ বনশ্রী ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপক জান্নাতুল ইশরাত অন্তরা বলেন, আমাদের প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় এসিটি কেনার পর সময়মত কিস্তি দিয়ে যাচ্ছিলেন মশিউর রহমান। কিন্তু গত মাসে তিনি কিস্তির টাকা দিতে আসেননি। আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি তিনি হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে প্লাজার কর্মকর্তারা তার বাড়িতে ছুটে যান। তার পরিবারকে সমবেদনা জানান। ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় তার পরিবার আর্থিক সহায়তা পাবেন সেটিও জানানো হয়। এটা জেনে তারা খুবই খুশি হন। আমাদেরও ভালো লেগেছে, এরকম একটি পরিবারের পাশে প্রয়োজনের সময় দাঁড়াতে পেরে।

৫০ পর্যটন স্পটে আসছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন: লক্ষ টাকার ঘরভর্তি পণ্য ফ্রি দিচ্ছে মার্সেল, রয়েছে নিশ্চিত উপহার

আপনার মতামত লিখুন