রোববার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ এপ্রিল ২০২৩

২৯ এপ্রিল, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্ম পরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘নিরাপত্তা দিবসের প্রত্যয় আজ, পারমিট নিয়ে করবো কাজ’ স্লোগানে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। 

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেডকোয়ার্টার্সে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সচেতনতামূলক র‌্যালি, আলোচনা সভা, আইডিয়া শেয়ারিং, ফটো ও স্লোগান কনটেস্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী, লাইভ সেভিং কার্ড বিতরণ ইত্যাদি। 

‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী। তার উপস্থিতিতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোফাইল-২০১৯ এর নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মীদের মাঝে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয় দিক-নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

ওয়ালটনের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, কর্মক্ষেত্রে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। সেই সাথে তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন।

আলোচনা সভায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও কমন সার্ভিস কো-অর্ডিনেটর ইয়াছির আল ইমরান বলেন, যেকোনও কাজের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই পরিবারের বিষয়টি মাথায় রাখবো। কেননা আমাদের কোনও ক্ষতি হয়ে গেলে পরিবারের ওপরেই তার প্রভাব পড়বে। তবেই নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের দায়িত্ব ও ভূমিকা আরও বেশি জোরদার হবে।

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. সাদেকুর রহমান জানান, ওয়ালটনে কর্মরত প্রত্যেকেই একটা পরিবার। ওয়ালটন তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষে বহু কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি নিরূপণ, নিয়মিত মনিটরিং, নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান, থার্ড পার্টি অডিট, দুর্ঘটনা পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত ফায়ার ড্রিল, ভাল কাজে পুরস্কার প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পারমিট গ্রহণ, সময়োপযোগী বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, ভিজুয়াল অ্যাওয়ার্নেস ইত্যাদি। একজন সুস্থ ও সুরক্ষিত কর্মী কোম্পানির সম্পদ ও তারা কোম্পানির উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতে পারে। ওয়ালটন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনা-কবলিত কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। 

আলোচনা সভায় শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটির পক্ষে সহ সভাপতি ও শ্রমিক প্রতিনিধি (টিম লিডার) উজ্জ্বল সরকার বলেন, আমরা একটি নিরাপদ ওয়ালটন বজায় রাখতে চাই। আমরা আরও সচেতন হবো এবং আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করবো। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা- কর্মক্ষেত্র আরও নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র প্রজেক্ট ও সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, এইচআরএম বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম, ওয়ার্কশপ প্রধান সানিউল ইসলাম, পিসিএম ইনচার্জ মো. রায়হান, ফায়ার সেফটি ইনচার্জ ইশাদুল ইসলাম, ইটিপি ইনচার্জ নাজমুল হাসান দিপু, ইএইচএস বিভাগের সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর মাহফুজ হোসেন, এডিশনাল ডিরেক্টর কাজী জাহিদ হাসান, ইএইচএস বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কম্পিউটার প্রোডাকশন প্রধান সঞ্জয় বিশ্বাস, অংশগ্রহণকারী কমিটি ও সেইফটি কমিটির শ্রমিক প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইএইচএস’র উপ-বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।

সন্তানের দেওয়া ওয়ালটন এসিতে ১০১টি ফ্রি পণ্য পেলেন সিলেটের ইরা মিয়া
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিনিধিদল

আপনার মতামত লিখুন