শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

দৃষ্টিনন্দন পর্যটন ভবন হবে আগারগাঁওয়ে

স্টাফ রিপোর্টার
১১ নভেম্বর ২০১৯

দেশের পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করতে দৃষ্টিনন্দন একটি পর্যটন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গড়ে উঠবে এটি। ১৩ তলা বিশিষ্ট এই স্থাপনায় থাকবে দুটি বেজমেন্টসহ আধুনিক সব সুবিধা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নতুন ভবনটি হবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) প্রধান কার্যালয়। এর মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য উন্নত ও মানসম্মত কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দৃষ্টিনন্দন পর্যটন ভবনে থাকবে ১১ হাজার ৮১৪ বর্গমিটার জুড়ে কার্যালয়। আসবাবপত্রের সংখ্যা হবে ১ হাজার ৫১টি। এছাড়া এখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৫২০ বর্গমিটার আয়তনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও রুপটপ রেস্তোরাঁ নির্মাণের পরিকল্পনা।

সূত্র জানিয়েছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পর্যটন করপোরেশন ও গণপূর্ত অধিদফতর যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি। সম্প্রতি এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন করা হয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯ কোটি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে (জিওবি) জোগান দেওয়া হবে ৭১ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিবি) চলমান প্রকল্প হিসেবে ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিযোগিতামূলক পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রকল্পটি উল্লেখ রয়েছে। এর কার্যক্রম সেই লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সদর দফতরকে একটি আধুনিক ভবন হিসেবে নির্মাণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্থাপত্যশৈলীর সন্নিবেশ থাকবে। ভবনের প্রবেশ এলাকা ও বাইরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাদাকালো মসৃণ সিমেন্ট ও স্টিল শাটার ব্যবহার করা হবে। বেজমেন্টে প্রবেশের র‌্যাম্পের ওপর টেম্পার্ড কাচ প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করবে। পর্যটন ভবনের অভ্যন্তরে ১০ মিলিমিটার পুরু স্বচ্ছ কাচের দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভবনটিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত স্থাপত্য নকশায় দক্ষিণ অংশ অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমসহ সূর্যের তাপে কম গরম হয় এমন কাচ দিয়ে ঢেকে রাখা হবে। নিচতলার প্রবেশপথের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কারুকাজ সংবলিত কাঠের দরজা বেছে নেবেন সংশ্লিষ্টরা। ভিআরএফ এসির লোড সমতাকরণসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে ফলস সিলিংয়ের পরিমাণ থাকবে বেশি। স্থাপত্য নকশা ও বাস্তব প্রয়োজনে সেমিনার হলে যুক্ত করা হবে শব্দদূষণ মুক্ত ব্যবস্থা। বহিঃস্থ বৈদ্যুতিক কাজের পরিধি বৃদ্ধি ও নতুন অঙ্গ হিসেবে ডাটা সেন্টার অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি কারণে প্রকল্পটির ১ম সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আধুনিক পর্যটন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক জানিয়েছেন, প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি সম্পদে পরিণত হবে। তার আশা- অত্যাধুনিক পর্যটন ভবনের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ার সুফল আসবে, যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।

ভ্রমণ অভিজ্ঞতা: এলিজা বিনতে এলাহী
'বুলবুল' বলে গেল 'সুন্দরবন বাঁচাও!

আপনার মতামত লিখুন