বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

লকডাউন শংকায় কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জানুয়ারি ২০২২

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। গত সপ্তাহের দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন থার্টি ফার্স্টের মতো ফি বছরের আনন্দ উৎসবে মেতে উঠার সময়েও পর্যটকের ভিড় ছিল না। কিন্তু প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে সৈকতে। শুক্রবার আশানুরূপ পর্যটকের আগমনে গত সপ্তাহের এক প্রকার পর্যটকশূন্য অবস্থা নিয়ে হতাশাগ্রস্ত পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটকবাহী গাড়ি দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসে সাগর পাড়ে। এতদিন দেখা গেছে, পর্যটকবাহী বাসগুলো বাইপাস সড়ক থেকে শহরের ভেতরের সড়কে পর্যন্ত পার্কিং করত। পর্যটন মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বাইপাসসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে জ্যাম থাকলেও এখন সেই অবস্থা নেই। গত সপ্তাহ থেকে সড়কে তেমন জ্যাম পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

সড়কে জ্যাম না থাকার কারণ হিসাবে জানা গেছে, বাইপাস সড়কের উত্তরণ গৃহায়ণ এবং তার পশ্চিম পাশে দুইটি প্রশস্ত স্থানে গাড়ি পার্কিং-এর সুব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের প্রধান পর্যটন শহরে পর্যটকসহ এলাকাবাসীর স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের স্বার্থে অনেকটাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করায় পর্যটকবাহী গাড়িগুলোর নিরাপদ পার্কিং নিশ্চিত হয়েছে।

জানা গেছে, উত্তরণ গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বাইপাস সড়কের পাশে বি ব্লকের বিশাল এলাকা জুড়ে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। গত শুক্রবার যেখানে মাত্র ২০টি পর্যটকবাহী গাড়ি পার্কিং করেছিল সেখানে গতকাল শুক্রবার অর্ধশতাধিক গাড়ি পার্কিং করেছে। এতেই অনুমান করা যায় যে, আজ প্রচুরসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে কক্সবাজার সৈকতে। তদুপরি বাইপাস সংলগ্ন দুটি স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হওয়ায় কলাতলি এলাকায় যানবাহনের চাপও কমে গেছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই সাগর পাড়ে পর্যটকের ভিড় বাড়তে শুরু করে। গোধূলীলগ্নে পুরো সৈকত জুড়ে পর্যটকের মেলায় পরিণত হয়। ভ্রমণকারীরা জানিয়েছেন, এমনিতেই গেল মৌসুমেও লকডাইনের কবলে গড়ে লোকজন বেড়াতে পারেননি। তাই এবার ছুটে আসছেন পর্যটকরা। তদুপরি নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবরে উদ্বিগ্ন পর্যটকরা আবারো লকডাউনের শংকায় ক্ষণিকের জন্য হলেও কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে আসছেন।

কক্সবাজার সাগর পাড়ে সম্প্রতি এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাসহ আরো কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনার কারণে স্থানীয়দের শংকা ছিল এবার পর্যটক হ্রাস পাবে। বাস্তবে তেমন ঘটনা ঘটেনি। কেবল থার্টিফার্স্টে প্রকাশ্যে তেমন কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় পর্যটকের ভিড় একটু কম ছিল। কিন্তু আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে আবারো শুরু হয়েছে পর্যটকের ঢল। 

কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান জানান, মধ্য ডিসেম্বরের পর্যটকের ভিড়ের পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে আবারো পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে। সৈকতে পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলও পর্যটকদের দেখভাল করার বিষয়টি নজরদারি করে আসছে।

পৃথিবীর যত ভয়ংকর পর্যটন স্থান
ডুবো চরে পর্যটক হারাচ্ছে ‘সাদাপাথর’

আপনার মতামত লিখুন