শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

পোস্ট কোড পরিবর্তন: পাসপোর্টে নতুন বিড়ম্বনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

থানা, পোস্ট অফিস ও পোস্ট কোড পরিবর্তন হওয়ায় পুরান পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন আবেদনকারীরা। ঢাকায় গত ১০ বছরে ১০টি নতুন থানা হয়েছে। অনেকের পাসপোর্টে পুরান থানার ঠিকানা রয়েছে। পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে ঠিকানা ও থানার নাম পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়েছে। এতে নতুন বিড়ম্বনায় পড়েছেন আবেদনকারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে থানা ও পোস্ট কোড বদল হওয়ায় নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হচ্ছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে পুলিশের কাছে চলে যায়। ভেরিফিকেশন শেষে পাসপোর্ট অফিসে রিপোর্ট এলে নবায়ন করা হয়।

পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে আবেদন করা হয়েছে, সেটি ঠিকানা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য পাসপোর্ট প্রদানেও বিলম্ব হয়।

রাজধানী বংশালের বাসিন্দা নাজমুন নাহার শোভা। ২০০৯ সালে পাসপোর্ট করেছিলেন। ২০১৪ সালে মেয়াদ-উত্তীর্ণ হওয়া পাসপোর্টটি আর নবায়ন (রিনিউ) করেননি। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন বলে ২০২১ সালের নভেম্বরে সেটি নবায়ন করে ই-পাসপোর্টের আবেদন করেন। সাধারণ আবেদনকারী হিসেবে আবেদনের পর নির্ধারিত কার্যদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত দিনের পরেও পাসপোর্ট পাননি তিনি। পরে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জানতে পারলেন সেটি পুলিশ ভেরিফিকেশনে আছে। আবেদনের প্রায় আড়াই মাস পরও ভেরিফিকেশন শেষ হয়নি। নাজমুন নাহারের মতো আরও অনেকেই এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন।

জানা গেছে, পাসপোর্ট নবায়ন নিয়ে ২০১৯ সালের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী নিজের নাম, বাবার নাম ও মায়ের নামে আংশিক কিংবা পূর্ণাঙ্গভাবে পরিবর্তন করতে পারবে না। বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য তার নিকাহনামা অথবা তালাকনামা দিতে হবে। আর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো মানুষের অস্থায়ী ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা) পরিবর্তন হলে সেটা কোনো সমস্যা হয় না। অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দেখিয়ে পাসপোর্টের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবে। তবে অধিদপ্তরের জারি করা সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী, কারো যদি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হয়, সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে সেটি ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) পাঠানো হয়। তাদের তদন্তে যদি তথ্য সঠিক ও ‘সন্তোষজনক’ বলে প্রমাণ হয় তাহলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।

মানসিক চাপ কমাতে ভ্রমণ
প্রবালদ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ প্রবাল চেনেন না

আপনার মতামত লিখুন