বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

‘আইজ আংগো পরিচয় পাইসি, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ’

নোয়াখালী প্রতিনিধি
২৫ মার্চ ২০২৩

‘মেঘনার থাবায় আংগো (আমাদের) সব লই (নিয়ে) গেছে। ঘর আছিলো, সুন্দর পরিবার আছিলো। সব হারাই পাগলপ্রায় ছিলাম। আইজ (আজ) আংগো পরিচয় পাইসি, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নামাজ পড়ি আংগো মা হাসিনার লাগি দোয়া কইরুম।’ কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী মো. জালাল আহম্মেদ।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।   

জালাল আহম্মেদ স্ত্রী-সন্তানসহ ধর্মপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। তিনি বলেন, মাইনষের বাড়িতে কাজ করি খাইতাম। কষ্টের শেষ আছিলো না। আংগো সুখের দিন শুরু হইসে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আংগো মায়ের মতো। আইজ যে কতো খুশি তা কয়ে (বলে) শেষ অইতোনো। 

জালাল আহম্মেদ স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অভাগা আছিলাম। ঝড়ে-বৃষ্টিতে কত রাইত জেগে ছিলাম। সুখের সময় আইসে। প্রধানমন্ত্রী মা শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হইসে। তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করুম। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে খুশি নাছির উদ্দিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কখনো দিনমজুর আবার কখনো অন্যের কাছে হাত পেতে চলেছি। ঘর না থাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ছিলাম। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ সবাইকে ধন্যবাদ। 

ঘর পেয়েছেন নোয়াখালী ইউনিয়নের সল্লা গ্রামের প্রতিবন্ধী জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার দুই হাত নেই। বউ মনোয়ারা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতো। কাজের বিনিময়ে মানুষের বাড়িতে থাকতাম। আজকে ঘর পেয়ে খুশিতে কান্না করতে ইচ্ছে করছে। গরিবের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। 

জানা যায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে সরকারি খাস জমিতে এসব গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সদর উপজেলা পরিষদে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জমির মালিকানাসহ ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে হস্তান্তর করেন। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, মেঘনা নদী বিধৌত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত  ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে মোট ১১৭০টি একক গৃহ প্রদান করেছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভূমিহীন নোয়াখালী জেলা ঘোষণা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এ সময় এলজিইডি নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজীদ বিন আখন্দসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসি’র এয়ার কন্ডিশনার বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন
জরাজীর্ণ ঘরে কষ্টে বসবাস, পাশে দাঁড়াল সরকার

আপনার মতামত লিখুন