শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

উন্নয়নে ভূমিকা নিতে পারে পর্যটন পুলিশ

পর্যটনে ‘নিরাপত্তা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নিরাপত্তা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠছে না। মালয়শিয়া ১৯৯৯ সালে যে গাইডলাইন মেনে পর্যটন খাতের সূচনা করেছিল তার ফল এখন পাচ্ছে সরকার।

তবে বাংলাদেশে ৭’শ নদী রয়েছে, নদী নির্ভর পর্যটনের সম্ভাবনা মালয়শিয়ার চেয়েও বেশি। দেশে ৬৬টি চা বাগান এবং প্রায় ৫ হাজার প্রত্নতত্ত্ব রয়েছে। যা দর্শনে প্রতিবছরে দেশ-বিদেশের বহু লোক আসেন। প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও নিরাপত্তা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার তা ভেস্তে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব, কার গাইডলাইন কে মানবে সে নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।  

অনেক সম্ভাবনার দেশে খুবই নিরাপত্তার ঘাটতি -বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ঐতিহ্য প্রদর্শনে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে। তবে এসব ঘাটতি পুষিয়ে সম্ভাবনার আলো জ্বালাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে পর্যটন পুলিশ।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্স স্ট্রাডিজের (বিসিএএস) আয়োজনে অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, সরকারের নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তা এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকালে (১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের প্লানিং এন্ড অপারেশন বিভাগের সুপারেনটেন্ড অব পুলিশ মো. আশরাফুর রহমান, পিএইচডি; বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, যুগ্ম সচিব মল্লিক আরোয়ার হোসাইন, প্রফেসর ড. সাঈদ রাশিদুল হাসানসহ অনেকে। ‍

ওয়ার্কশপে পর্যটন খাতের দূর্বলতা ও উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ মালাসহ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসের ভুঁইয়ান। গবেষণাপত্রে তিনি বলেন, নিরাপত্তা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠছে না। এক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে ড. আতিকুর রহমান বলেন, গবেষণাপত্রে দূর্বলতার বিশেষ দিকগুলো ফুটে উঠেছে। সুপারিশ মালাও উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো পূরণ করা হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে দেশে মানবিক উন্নয়ন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশ আরো স্বাবলম্বি হবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপারেনটেন্ড অব পুলিশ মো. আশরাফুর রহমান ‘ইকো-সিস্টেম বা ইকো-ট্যুরিজম করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইকো-ট্যুরিজম হলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা বা প্রাণের বড় ক্ষতগুলো দুর করা সম্ভব হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রত্যেক এলাকায় পর্যটন পুলিশের তত্ত্বাবধানে একটি করে হেরিটেজ সাইড স্থাপন করা যেতে পারে। পুলিশের এসব উদ্যোগ নিলে ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে পর্যটন নদী কেন্দ্রীক বা নৌ-জাহাজ কেন্দ্রীক প্রসার করা যেতে পারে।

সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজারের দূষণ রক্ষায় পর্যটন পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে বলে অভিমত দেন বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্মা।

সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে যেসব সুপারিশ
পর্যটক আকর্ষণে থাইল্যান্ডে শুরু হচ্ছে কোয়ারেন্টি-ফ্রি ভিসা

আপনার মতামত লিখুন