ভ্রমণে সাহায্য করবে ট্যুর দেই ডটকম

যারা বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণ করে থাকেন; তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ট্যুর দেই ডটকম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের তথ্য পাওয়া যাবে, পাবেন স্থানীয় গাইড। গাইডদের মাধ্যমে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
শুধু তা-ই নয়, ভ্রমণস্পটে হোম-স্টে সুবিধাও থাকবে। পাশাপাশি থাকবে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য কেনাকাটার সুযোগ-সুবিধা। এতে ট্যুরিস্টরা স্থানীয় পরিবেশ এবং স্থানীয় লোকজনের বিভিন্ন বিষয় উপভোগ করার পরিপূর্ণ সুযোগ পাবেন।
জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্যুর দেই ডটকমের টিম মেম্বার এস এম বেলাল, মনিরুজ্জামান পিয়াশ, এস এম ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ এমডি হাসান, মুহিত, মাকমুন সাফা ও ইয়াসমিন প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এস এম বেলাল বলেন, ‘যেসব স্থান সম্পর্কে মানুষ এখনো তেমন একটা জানতে পারছে না, সেসব স্থানগুলোকে মানুষের সামনে নিয়ে আসা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া ওইসব স্থানের যেসব প্রসিদ্ধ পণ্য আছে, সেগুলো সম্পর্কেও মানুষ জানতে পারবে। ফলে স্থানগুলো অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইট আছে। স্থানীয় গাইডরা অথবা যারা কন্ট্রিবিউটর হিসেবে থাকছেন; তারা নিজ এলাকার ছবি বা ভিডিও সেখানে প্রকাশ করবেন। ফলে যে কেউ সাইটে গেলে মুহূর্তের মধ্যেই এলাকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার মনিরুজ্জামান পিয়াশ বলেন, ‘ট্যুর দেই ডটকম শুধু ট্যুর ট্রাভেল কোম্পানি নয়, এটি ট্যুরের একটি ইকোসিস্টেম। আমরা পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থান ও তাদের সংস্কৃতি জানাবো। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের ব্যবস্থা করছি। পর্যটকরা চাইলে কম খরচে হোম-স্টে করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘গাইডরা চাইলে তাদের নিজস্ব যানবাহন, যেমন- সাইকেল, মোটরসাইকেল, নৌকা পর্যটকদের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন, যদি পর্যটকরা চান। এতেও গাইডরা লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব স্থান সম্পর্কে মানুষ এখনো জানে না, আমরা সেগুলোকে তুলে ধরবো। আর সেসব স্থানে যুবকরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না, তাদের জন্য আমরা কাজের সুযোগ তৈরি করে দেব।’
আপনার মতামত লিখুন