শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঐতিহ্য

আলী আমজদের ঘড়ি

অনলাইন ডেস্ক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কেবল রাত বারোটা বাজার অপেক্ষা। জনতার চোখ আলী আমজদের ঘড়ির দিকে। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটার ঘর পার হতেই চারদিকে রঙিন আলোর ঝলকানি। একের পর এক আতশবাজির ঝিলিকে ঝলমল করে উঠল সুরমা নদীর এপার-ওপার। জনতার চোখে বিস্ময়! এমন দৃশ্য হয়তো এতদিন কেবল লন্ডনের বিখ্যাত বিগ বেনকে ঘিরেই দেখেছি আমরা। এবার সিলেটবাসীর গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক আমজদ আলীর ঘড়িকে ঘিরেই এই দৃশ্য বাস্তব করে তুলতে চায় একটি টুরিজম কোম্পানি।

এই প্রতিষ্ঠানটি আবারো পুরনো জৌলুস ফিরিয়ে দিতে চায় আলী আমজদের ঘড়িকে। আলী অমজদের ঘড়িকে ঘিরে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রস্তাব এরই মাঝে সিলেটের মেয়র বরাবর জমা দিয়েছে মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড।

প্রতি বছর মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা ছাড়াও এই প্রস্তাবনার মাঝে আছে- ঘড়িটির নিয়মিত পরিচর্যা, গোটা চত্বরের সৌন্দর্য বর্ধন ও ল্যান্ডস্কেপিং ।এই ঘড়ি দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও আছে।

মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, ‘দেশব্যাপী বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি আমরা। আলী আমজদের ঘড়ি আমাদের দেশের গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এটিকে আমরা দেশে তো বটেই, বাইরের বিশ্বের কাছেও একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

নগরের কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পাড়ে আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান। এ ঘড়ি স্থাপিত হয় ১৮৭৪ সালে। তৎকালীন বড়লাট লর্ড নর্থব্রুকের সিলেট সফরকে স্মরণীয় করতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার নবাব আলী আহমদ খান ঘড়িটি নির্মাণ করেন।

ঘড়ির নামকরণ করেন পুত্র আলী আমজদ খানের নামে। আলী আমজদের ঘড়ির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি।

ভোলায় টুরিস্ট ক্লাবের আত্মপ্রকাশ
২০ দেশের ওপর সৌদির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

আপনার মতামত লিখুন