ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় সম্মত ফ্রান্স

নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ইউরোপের দেশগুলোর সীমান্তে হাজার হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে। ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে চালক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকসহ আরো কিছু যাত্রীও আটকে আছে। এই আটকে পড়া ট্রাকের বিষয়ে এক সমঝোতায় পৌঁছেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এরফলে ফ্রান্স যুক্তরাজ্য থেকে তাদের ট্রাকগুলো ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। বৃটেনের সীমান্তে ফ্রান্সের অনেক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে। এই সব চালক ও যাত্রীদের সাম্প্রতিক করোনা পরীক্ষার ফল যদি নেগেটিভ আসে তবে তারা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবে বলে অনলাইন বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
রোববার থেকে বৃটেনে সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পর প্রায় ২৮৫০টি মাল বোঝাই ট্রাক আটকে আছে কেন্টে। শুধুমাত্র ফ্রান্সের সঙ্গেই প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক চলাচল করে বৃটেনে। এইসব চালক এবং যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস), ট্রেস স্টাফ এবং দেশটির সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে গতকাল সকাল থেকে বিমান, নৌপথ এবং ইউরোস্টার ট্রেনগুলো আবার চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
দু’দেশের মধ্যে ওই চুক্তির ফলে ট্রাকচালক, ফরাসি নাগরিক এবং ফরাসি রেসিডেন্সিপ্রাপ্ত বৃটিশ নাগরিকদের জরুরিভিত্তিতে ফ্রান্সে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেক নাগরিককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে। করোনার এই নতুন স্ট্রেন শনাক্ত করতে সক্ষম র্যাপিড লেটিরিয়াল ফেলো টেস্ট মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিতে পারে। যেখানে তথাকথিত পিসিআর এ পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। চালকরা তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে পাবে। এবং তারা বর্ডার অতিক্রম করার সময় ওই বার্তাটি দেখালে তাদের পার হওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। করোনা পরীক্ষায় যে সব চালকের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হবে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দেশটির সরকারি একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন