বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লাইফস্টাইল

নিত্যপণ্য মজুত ও ভ্রমণ না করার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক
১৪ মার্চ ২০২০

বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আমেরিকায়ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুও। এ অবস্থায় বয়স্ক ব্যক্তিদের বিশেষত যাদের বয়স ষাটের বেশি, তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন কন্ট্রোল (সিডিসি)। এ ক্ষেত্রে সবাইকে ভ্রমণ না করা এবং আগে থেকেই যাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সিডিসির তথ্যমতে, বয়স্ক ব্যক্তিদের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া আগে থেকেই যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগসহ নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। কারণ, তরুণদের তুলনায় বয়স্ক ও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ২১ দশমিক ৯ শতাংশের বয়স ছিল ৮০ বছর বা তদূর্ধ্ব। শিশু বা তরুণেরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাদের ঝুঁকি কম। চীনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মৃত ব্যক্তিদের অধিকাংশেরই বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি। তবে এ ক্ষেত্রেও দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ ছিল না—এমন ব্যক্তির মারা যাওয়ার হার মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্তদের ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ৯ দশমিক ২ শতাংশ, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্তদের ৮ শতাংশ ও ক্যানসার আক্রান্তদের ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যক্তি মারা যায়।

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এ ভাইরাস সংক্রমিত হলেও এখনো তা চীন বা ইতালির মতো মহামারি আকার ধারণ করেনি। তবে অন্য উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমেরিকা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

২০১৫ সালে সিডিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৩০ মিলিয়ন আমেরিকান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেলথ অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট স্টাডিজের ২০১৬ সালে প্রকাশিত তথ্যমতে, ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে প্রায় ৩৮ শতাংশ ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ ও শ্বাসযন্ত্রের রোগের যেকোনো একটিতে আক্রান্ত। ৮০ থেকে ৮৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই আমেরিকায় এ ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে কী অবস্থা হবে, তা কল্পনারও বাইরে। এ জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভোগা ব্যক্তিদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে সিডিসি।

সিডিসি থেকে বয়স্ক আমেরিকান, বিশেষত যারা ইতিমধ্যেই কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত, তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ঘরে মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। জনবহুল কোনো স্থান যেমন, শপিং মল, সুপার মার্কেট, গ্রোসারি স্টোর, কনসার্ট, সাবওয়ে, বাস, বার, রেস্তোরাঁ, জাহাজ ইত্যাদি স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিডিসি–কর্মী মেসোনিয়ার বলেন, যেকোনো আমেরিকানেরই এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে মৃত্যুহার এবং বিভিন্ন গবেষণা বলছে বয়স্করাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

বাংলার দার্জিলিং ভ্রমণ
ওয়ালটন আসায় পুঁজিবাজারে গভীরতা বাড়বে: ড. সালেহউদ্দিন

আপনার মতামত লিখুন