সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতামত

বিপর্যস্ততার পথে কক্সবাজারের পর্যটন

দেলোয়ার জাহিদ
২৬ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজকের বিশ্বে পর্যটকেরা যেখানেই যান না কেন, সেখানে তাঁরা অর্থপূর্ণ কোনো অভিজ্ঞতা খোঁজেন। তারা অবশ্যই অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে অনুসন্ধান করে দেখেন। এ ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিষেবার খ্যাতি, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, পর্যটন পরিষেবা ইত্যাদি বিবেচনায় নেন।

বাংলাদেশের কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এটি একটি বালুকাময় সৈকত, যার দৈর্ঘ্য অবিচ্ছিন্নভাবে ১৫৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের কক্সবাজারে পর্যটক স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সম্প্রতি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউই গ্রেপ্তার হননি। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পুলিশের তালিকায় নানা মামলায় জড়িত বলে জানা যায়। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সখ্যের কথাও আমরা জানতে পারছি।

বাংলাদেশের মতো যেকোনো দেশের উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার মতো বহুমাত্রিক ক্ষমতা রয়েছে সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের। এখানকার পর্যটনশিল্প কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে।

কক্সবাজার নগরীতে গড়ে উঠেছে বিপুলসংখ্যক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস, মোটেল ও রেস্টুরেন্ট। গড়ে উঠেছে অনেক আন্তর্জাতিক মানের তিন থেকে পাঁচ তারকা হোটেল, রিসোর্ট; যা পর্যটকদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ সরাসরি সমুদ্রসৈকত দেখার সুযোগ। এটি সাঁতার কাটা, হাঁটা এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি অত্যাশ্চর্য ও সুন্দর জায়গা। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও পর্যটকদের জন্য এবং আশ্চর্যজনক ও মনোরম প্রকৃতিকে উপভোগ করার জন্য এটি একটি চমৎকার সৈকত; যা বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক বালুর সৈকতগুলোর মধ্যে একটি। কক্সবাজারে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সুদূর প্রভাব পড়বে পর্যটনশিল্পে। যেমনটি হয়েছিল ভারতে।

বাংলাদেশের কক্সবাজারে পর্যটনের অভিজ্ঞতাকে অবশ্যই ভ্রমণকারীর ইচ্ছার সঙ্গে অনুরণিত হতে হবে, ভ্রমণকারী দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে প্রয়োজন খাঁটি পর্যটন অভিজ্ঞতা, যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। শিল্প হিসেবে পর্যটন বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, সেটিকে এগিয়ে নিতে এ অঞ্চলে অপরাধের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে। কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পকে ত্বরান্বিত করতে অনুকূল অর্থনৈতিক বাহ্যিকতা ছাড়াও জননিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তা না হলে এ উদীয়মান শিল্প বিপর্যস্ত হবে।

লেখক : রিসার্চ ফ্যাকাল্টির সাবেক সদস্য, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা, কানাডা; বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কানাডা ইউনিট কমান্ড নির্বাহী।

সেন্টমার্টিনে দুই দিন পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ঘুরে আসুন মালদ্বীপ, পাশে আছে ইউএস-বাংলা

আপনার মতামত লিখুন