বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
গাঁও গেরাম

সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা নওগাঁর ‘অগ্রপর বিহার’

স্টাফ রিপোর্টার
০২ মার্চ ২০২১

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমের প্রান্তিক পর্যায়ের একটি ইউপি আগ্রাদ্বিগুণ। ওই ইউপির কোল ঘেষা বাজারের পাশে অবস্থিত হাজার বছরের পুরনো ৪ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে পাহারের মত বিরাট ঢিবি যা “অগ্রপর বিহার” নামেই পরিচিত।

নওগাঁ জেলায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে অগ্রপর বিহার ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাছে তালিকাভুক্ত একটি স্থাপনা। কয়েক বছর আগে ওই স্থাপনার খনন কাজ শুরু হলেও কারণবশত তা থেমে যায়। ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকা গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি দেয়ার জন্য খনন কাজ ফের শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা হবে এবং খনন থেকে মূল্যবান প্রত্নসম্পদ পাওয়া যাবে।

আগে আগ্রা ও দ্বিগুণ নামের দুটি গ্রাম ছিল। পরে ওই দুটি গ্রাম একত্র হয়ে আগ্রাদ্বিগুণ নামে পরিচিতি পায়। কথিত আছে দ্বারকানাথ ঠাকুর নামে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের আমলে ওই অগ্রপর বিহার  নির্মিত হয়েছিল। আর ওই বিহারের পাশে ছিল বিশাল আকারে নানান নামের দিঘী। এখনো রয়েছে তবে সময়ের ব্যবধানে দিঘীর আকৃতি ঘনিয়ে পরেছে। আর ওই স্তুপের আশে পাশে এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরনো কালের পাথর, শিলা তা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হাজার বছরের এটি কোন একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল।

প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুরু হয়েছিল খনন কাজ। পরে নতুন বছরের ২৬ জানুয়ারি ৩য় দফায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে খনন কাজ। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন মাস চলবে এই খনন কাজ। দীর্ঘ দিন পর খনন কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার ওই ঐতিহাসিক বিহারটি নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের এমনটা ধারণা করছেন এলাকাবাসি।

আমিরাতে ট্যুরিস্ট ভিসাধারীদের জন্য সুখবর
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আরও একটি নতুন ট্রেন চালু হতে চলেছে

আপনার মতামত লিখুন