মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতামত

বিভক্তি নয়, সুদৃঢ় হোক একতা

 হানিফ মাহমুদ
২৮ আগস্ট ২০২০
 হানিফ মাহমুদ

 হানিফ মাহমুদ

এগিয়ে যাক গর্বিত হোক প্রিয় জেলা, জম্মভূমি নোয়াখালী তথা সুবর্ণচর। এ জেলার সম্মানীত সকল নেতা পাক যথাযথ সম্মান এবং ভালোবাসা।আমাদের প্রিয় এমপি,আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান, আমাদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যদি জাতীয় ভাবে মূল্যায়ীত হয় তবে সেটাই আমাদের প্রকৃত লাভ। আমরা অহেতুক কাউকে খাঁট না করি। যিনি যে উচ্চতায় রয়েছেন সেখানে অন্যকে না নিয়ে যাই। নোয়াখালীর জন্য সকলের সমান ভালোবাসা থাকুক। নেতাদের বয়স, সম্মান,পদ মর্যাদা অনুযায়ী যার যার অবস্থানে থাকুক সম্মানের সাথে। অহেতুক আমরা কেন একজন কে অন্য জনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে যাই।এতে করে দলীয় শৃংখলা যেমন বিনষ্ট হয় ঠিক তেমনি উন্নয়নও বাঁধাগ্রস্থ হয়। ভালোবাসাকে বিভক্তিতে পরিনত না করে মাননীয় এমপি মহোদয়ের ক্ষমতা,একাগ্রতা,এবং আন্তরিকতা কে কাজে লাগিয়ে নোয়াখালী তথা সুবর্ণচরকে যথাযথ উন্নয়নের রোড়ম্যাপে শামীল করা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন জননেতা সেলিম সাহেব এবং গণমানুষের প্রিয়নেতা, নগদ চৌধুরীখ্যাত মাননীয় এমপি মহোদয়কে কাজে লাগিয়ে সদর সুবর্ণচরের উন্নয়ে এক মহা সুযোগ আমরা নিতে পারি।
ইকোনমি জোনের কোম্পাীগজ্ঞে চলে যাওয়ার বিষয়ে শুধুমাত্র মাননীয় এমপি মহোদয়কে একা দোষ দিয়ে অন্যদের আড়াল করার সুযোগ নেই। এত বড় একটা বিষয় একদিনে ঘটে যায়নি। সকলেরই দায় রয়েছে। একজন এমপি কে দায় দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভালো কাজের প্রশংসা যেমন আশা করেন সবাই। মন্দ কাজের বা ব্যর্থতার দায় ও নিতে হবে সবাইকে সমান ভাবে। একার পক্ষে অনেক কিছু করা অসম্ভব। যার যত গ্রহণ যোগ্যতা, ক্ষমতা, ক্যারিশমা, মূল্যায়ন সব কিছু কাজে লাগিয়ে স্পেশাল ইকনমি জোন কিংবা অন্য কোন বড় প্রকল্প নিয়ে আসুন। তবেই বুঝা যাবে আপনারা পেরেছেন। তাহলে উপকৃত হবে সুবর্ণচর। আমি হেন, আমি তেন এসবের কোন মজা নেই নগদে করে দেখান। কাজ,উন্নয় কাজ। জনগণ সেটাই প্রত্যাশা করে আপনাদের কাছে। যদি সেটা না পারেন আপনারা অনেক বড়, অনেক ক্ষমতাশালী,অনেক কাছের, এসব দিয়ে আমাদের কিছুই লাভ হবেনা। আমরা চাই সদর সুবর্ণচরের উন্নয়ন। সেটা যে যেভাবে পারেন,যাকে ইচ্ছা খুশি করেন,খুশি রাখেন সমস্যা নেই কিন্তু বেলা শেষে আপনি যেন সুবর্ণচরের জন্য ওনাদের দিয়ে কিছু করিয়ে নিতে পারেন।
তা নাহলে কোন লাভ নেই।
সকলের মনে রাখা জরুরী সদর সুবর্ণচরের সবচেয়ে বড় প্রতিদন্ধি রয়েছেন এ মূহুর্তে আওয়ামী লীগ নামক ক্ষমতাশীল দলটির সবচেয়ে প্রবাভশালী, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডানহাত জননেতা জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেব।
আপনাদের বুঝতে এত কষ্ট কেন হচ্ছে সহজ সুযোগ থাকতে ওবায়দুল কাদের সাহেব তার নিজের এলাকায় এত বড় প্রকল্প না নিয়ে আপনাদের এলাকায় দিয়ে দিবে??? অহেতুক নগদ চৌধুরীকে দোষ দিয়ে ফল কি?? ওনার নিজেরওতো সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
"বলতে আমায় বল যে
সব কথা যায় না বলা সহজে"।
সুতরাং বিভক্তি নয়, একজন অন্যের প্রতিপক্ষ না বানিয়ে উভয়কে ভালোবাসি, কাজে লাগাই।কারণ ওনারা এখন আর কেউ কারো প্রতিপক্ষ নন।
বরং একে অন্যের পরিপূরক। আমরাই কেবল ব্যক্তিগত সফলতার চিন্তায় ওনাদের দুজন কে বিভক্ত করি।
আসলে আবারও বলছি একক ভাবে নয় এই দুই নেতাকে সম্মিলীত শক্তিতে পরিনত করে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রকৃত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তানাহলে ফলফল শুন্য।আখাংকার ঘুড় চলে যাবে দুর্তবাজ শেয়ালের পেটে।
সুতরাং বিভক্তি নয়, একতা।
ভালোবাসুন দুজন কে। যার যার প্রাপ্য সম্মান অনুযায়ী।

সুবর্ণবাসীর আস্থার প্রতীক
উদয় হাকিমের উপস্থাপনায় ত্রিবেণীতে আজ গাইবেন ‘সেরা কণ্ঠ’ সেমিফাইনালিস্ট মঞ্জুরি ও শিশির

আপনার মতামত লিখুন