সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

উন্নয়ন খাতে চার হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা পাচ্ছে পর্যটন

ডেস্ক রিপোর্ট
২৮ মার্চ ২০২২

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট চার হাজার ৬৮৬ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছে। সার্বিক বিবেচেনায় অর্থ বিভাগ তাদের জন্য শুধু উন্নয়ন খাতে চার হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দের মত দিয়েছে। তবে তাদের আগামী অর্থবছরের ব্যয়ের সীমা দেয়া হয়েছে চার হাজার ৮৪৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নিজের সচিবালয়ের জন্য সাড়ে ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে; কিন্তু অর্থ বিভাগ থেকে এক কোটি টাকা কমিয়ে এই বরাদ্দ সাড়ে ১৭ কোটি টাকা করার সুপারিশ করেছে। অন্য দিকে সাহায্য মঞ্জুরি খাতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের জন্য ৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়। সেখানে ২৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা কমিয়ে ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ।

মন্ত্রণালয় বলছে, উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের প্রকল্পের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছর এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ের প্রকল্পের জন্য ২৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত আরো ৫৫ কোটি টাকা এবং যশোর বিবামনবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর শাহ মকদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৩০ কোটি টাকাসহ ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন।

উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ বিশ্লেষণের তথ্যানুযায়ী, অনুমোদিত ১৬ প্রকল্পের মধ্যে চারটি প্রকল্পে জিওবি শতভাগ, একটি প্রকল্পে ৯০ শতাংশ, একটি প্রকল্পে ৮০ শতাংশ, তিনটি প্রকল্পে ৭০ শতাংশ এবং তিনটি প্রকল্পে ৫০ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়। ১২টি সম্ভাব্য বা অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০ কোটি টাকা থোক সুপারিশ করা হয়। চারটি টেনে নেয়া প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি চূড়ান্ত না হওয়ায় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুপারিশ করা হয়নি। সার্বিকভাবে উন্নয়ন খাতে মোট চার হাজার ৩০৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে জিওবি খাতে এক হাজার ৭৮৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, থোক ২০ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদের তথ্য হলো, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। তাই এই কাজের জন্য ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকার প্রয়োজন।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের নির্ধারিত কাজ বাস্তবায়ন করতে গেলে প্রস্তাবিত বরাদ্দের চেয়ে বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো সমাপ্ত এবং সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ইচ্ছা পরিত্যাগ করার অনুরোধ করে পরিকল্পনা কমিশন।

সার্বিক পর্যালোচনায় অর্থ বিভাগের সচিব জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের প্রকল্পের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছর এক হাজার ১১.২২ কোটি টাকার পরিবর্তে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ের প্রকল্পের জন্য ২৪৫ কোটি টাকার পরিবর্তে ৩০০ কোটি টাকা এবং যশোর বিবামনবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর শাহ মকদুম বিমানবন্দরের রানওয়ের প্রকল্পের জন্য সুপারিশকৃত ৩০ কোটি টাকার পরিবর্তে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দসহ মোট উন্নয়ন প্রকল্প খাতে চার হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সুপারিশ করা হলো। যেখানে বরাদ্দ করা হয়েছিল চার হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।

ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে এক্সক্লুসিভ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বঙ্গওয়াল’ সংযোজন
সেন্টমার্টিন থেকে সরানো হচ্ছে কুকুর

আপনার মতামত লিখুন