শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

পর্যটনজোনে উচ্ছেদ-দখল নিয়ে চলছে ‘ইঁদুর-বেড়াল খেলা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ অক্টোবর ২০২২

শহরের পর্যটন জোন কলাতলীতে ফুটপাতের উপর অবৈধ দোকানপাট-পার্কিংয়ের কারণে যানজটসহ নানা ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও দখলবাজরা ফের অবৈধ স্থাপনা বসাচ্ছে।

উচ্ছেদ-দখলের এই অবস্থাকে ‘ইঁদুর-বেড়াল খেলা’ বলছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, ‘আইন অবমাননার এই বিষয়টি হাস্যকর। এর ফলে বরাবরই যানজটসহ নানা ভোগান্তি রয়েই যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী এই দখলবাজির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রশাসনের আইন প্রয়োগকে হাস্যকর করে তুলেছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, কলাতলী ডলফিন মোড়সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাত দখলের মহোৎসব চলছে। দখলবাজরা রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত দখলের পাশাপাশি রীতিমত রাস্তার উপর ভ্যান ও টং দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এতে যানযটের পাশাপাশি চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে বেড়াতে আসা পর্যটক, স্থানীয় ও পথচারী। হকাররা দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে তাদের চাঁদা দিয়ে থাকে।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক মো. রুবেল বলেন, ‘বেড়াতে এসেও শান্তি নেই। এখানেও ফুটপাত দখল করে যানজট আর চলাচলে অসুবিধা করে রাখা হয়েছে। এটা পর্যটন নগরীর জন্য দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হওয়া উচিৎ।’

স্থানীয় সাইফুল ইসলাম জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে পর্যটন নগরীর সুনাম ক্ষুন্ন হয় সবসময়। তাই শুধু অভিযানে কাজ হবে না। এই দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠিন আইন প্রয়োগ করা উচিৎ। যারা ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি করছে তাদের স্থানীয়ভাবে প্রতিরোধ দরকার। যাতে পর্যটন নগরীর মান অক্ষুন্ন থাকে।

পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট পুলিশ) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এসব অবৈধ দখলবাজদের কারনে পর্যটকসহ স্থানীয় জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে এরপরেও তারা বরাবরই দখলবাজি করছে। তবে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তবে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন চাইলে এসব স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পারে। তাদের এইক্ষেত্রে আরও কঠোরতা প্রয়োজন।

আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনশিল্প
কক্সবাজার সৈকতে মৃত্যুর মিছিল, ৭ বছরে ৩৪ জনের সলিল সমাধি

আপনার মতামত লিখুন