আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনশিল্প

আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনশিল্প। রাঙ্গামাটির সাজেক, খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা কিংবা বান্দরবানের নীলগিরি দেখতে পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়।
জানা গেছে, এসব পর্যটনকেন্দ্রে শুভলং-রিছাং-শৈলপ্রপাতের মতো অসংখ্য পাহাড়ি ঝরনা দেখার বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। একসময় কাপ্তাই লেকের ওপর তৈরি করা ঝুলন্ত ব্রিজ ছিল পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির প্রতীক। কিন্তু এখন সব পরিচয় ছাপিয়ে পরিচিত হয়ে উঠছে সাজেকের নামে।
করোনাসহ নানা জটিলতায় গত কয়েক বছর পর্যটকশূন্য ছিল রাঙ্গামাটি। কিন্তু এবার দুর্গাপূজার পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি বন্ধ যুক্ত হওয়ায় পর্যটকের যেন বাঁধ ভেঙেছে। হোটেল বা রিসোর্ট না পেয়ে খোলা আকাশেই রাত কাটিয়েছেন সাজেকে যাওয়া অনেক দর্শনার্থী।
আরেক পর্যটন জেলা খাগড়াছড়ি। যেখানে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে আলুটিলা গুহা। এর মাঝে রাঙ্গামাটির সাজেক যেতে হয় খাগড়াছড়িকে মাথায় রেখে। ফলে এখানে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা বছরজুড়েই জমজমাট। তাই এখানে রয়েছে কয়েক হাজার চাঁদের গাড়ি।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
এদিকে পাহাড় আর মেঘের মিতালি দেখতে কেবল শীত নয়, ভরা শরতেও বান্দরবান ছুটছেন পর্যটকরা। সুউচ্চ পাহাড়ি পথে ছুটে চলা গাড়িগুলো ছুঁয়ে যায় মেঘমালা। শৈলপ্রপাত, ঝরনা, স্বর্ণমন্দির, নীলাচল-চিম্বুক এবং নীলগিরির মতো আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে এখানে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পর্যটনকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে কোনো রকম সমস্যা হলে আমরা ফুটেজ দেখে তা চিহ্নিত করতে পারি।
এবার বান্দরবানের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ব্যবসা করেছে ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আসন্ন শীত মৌসুমে শতকোটি টাকা ব্যবসার আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আপনার মতামত লিখুন