শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

চট্টগ্রামের পর্যটনশিল্প ঘিরে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ এপ্রিল ২০২২

পাহাড়-নদী-সাগরে ঘেরা অপূব নৈসর্গিক লীলাভূমি চট্টগ্রামের পর্যটনশিল্প অপার সম্ভাবনাময়। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা ও পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা গেলে এই খাতকে ঘিরেই পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা। এমনটাই মনে করেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরা। 

চট্টগ্রামে রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য, গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বিস্তীর্ণ পাহাড়ি ভূমিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত পর্যটনশিল্পকে এনে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা।

মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতেও গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর ২শ’ ১২ একর জমির মধ্যে ১শ’ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে কৃতিম জলাধার বা হৃদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অনুসারে এই জলাধারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা স্বরবর’। এখানে থাকবে পর্যটানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। বাকি ১শ’ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হবে বন্য পশুপাখিদের জন্য অভয়াশ্রম।

পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারি উদ্যোগ চান চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। 

শিল্প উদ্যোক্তা ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা আবু তৈয়ব বলেন, “আমরা কিন্তু পর্যটন খাতকে মোটেও কাজে লাগাতে পারছি না। যদিও আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং সাফারি পার্ক হবে ওই রকম পর্যটনের একটা উপাদান। আমরা আশা করব, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটিকে আন্তর্জাতিক মানের করা হোক। যেটাতে মানুষ উৎসাহী হবে।”

তবে, পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় অনেক পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, “পরিকল্পনামালিক সাজিয়ে পর্যটন উপযোগী করে যদি তোলা যেত, অবশ্য আমাদের অর্থনীতিতে বিশাল একটা ভূমিকা রাখত। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি।”

চট্টগ্রামকে আরও মনোমুগ্ধকরভাবে সাজিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে। তবেই আরও সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি- এমন দাবি সকলেরই।

বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখর কলকাতা
ইউরোপীয় ৩ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড এখন ওয়ালটনের

আপনার মতামত লিখুন