সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

ওয়ালটন প্লাজার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেলো দুই পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুন ২০২৩

‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় আরও দুইজন মৃত ক্রেতার পরিবারকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। এসব পরিবারের বকেয়া কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে প্লাজা কর্তৃপক্ষ।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাভারের আশুলিয়ার মৃত কিস্তি ক্রেতা আব্দুস সোবহানের স্ত্রী মনিরা খাতুন এবং নওগাঁর পোরশা উপজেলার বানইল বড়গ্রাম এলাকার মৃত ক্রেতা আব্দুল লতিফের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সংশ্লিষ্ট প্লাজা থেকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশব্যাপী কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত অর্ধ-শতাধিক ক্রেতা পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন, ২০২৩) সাভারের আশুলিয়া ওয়ালটন প্লাজা থেকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন মনিরা খাতুন। আর্থিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার (ডিসিএম) হাসান তারিক, চন্দ্রা জোনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার (আরএসএম) আশেক উর রহমান, ওয়ালটন প্লাজা আশুলিয়া শাখার ম্যানেজার ফারুক হোসাইন এবং আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এর আগের দিন ৭ জুন পৃথক অনুষ্ঠানে নওগাঁর নিয়ামতপুর ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজিয়া সুলতানার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজা কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার (সিডিও) জাহিদুল ইসলাম, ডিসিএম অনিল চন্দ্র বিশ্বাস, আরএসএম এসএম শাকিলুর রহমান পাভেল, আরসিএম আসাদুজ্জামান, নিয়ামতপুর প্লাজা ম্যানেজার শরিফুল ইসলামসহ ওয়ালটনের স্থানীয় বিভিন্ন প্লাজা শাখার কর্মকর্তারা।

মৃত ক্রেতা আব্দুস সোবহানের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের দেবনগরে। স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে থাকেন সাভারের আশুলিয়ায়। এখানকার একটি স্থানীয় গার্মেন্টস এ কাজ করেন তার স্ত্রী মনিরা খাতুন। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৭ হাজার ৯০০ টাকা ডাউনপেমেন্টে আশুলিয়া ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি স্মার্ট এলইডি টিভি কেনেন মৃত আব্দুস সোবহান। মাত্র দুটি কিস্তি পরিশোধ করার পর গত ১৫ মে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্লাজা থেকে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার একটি আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ দেওয়া হয়। সেখান থেকে বকেয়া কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর নগদ ২২ হাজার ৮৬৭ টাকা মৃত আবদুস সোবহানের স্ত্রী মনিরা খাতুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পোশাক শ্রমিক মনিরা খাতুন জানান, স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েন তার পরিবার। এই অসহায় অবস্থায় আমার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। কিস্তির টাকা মওকুফ করার পাশাপাশি নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় ওয়ালটনের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। ক্রেতাবান্ধব এমন সুবিধা দেওয়ায় ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ।

এদিকে নিয়ামতপুর ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম জানান, নিয়ামতপুর শাখা থেকে মৃত ক্রেতা আব্দুল লতিফ চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৬৪০ টাকায় কিস্তিতে একটি ব্লেন্ডার কেনেন। এরপর ৪ হাজার ১০০ টাকার কিস্তি পরিশোধের পর বিগত ২ মে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। তার স্ত্রীকে প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজর আওতায় বকেয়া কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর নগদ ৪৭ হাজার ৮১ টাকা প্রদান করা হয়।

পরিবারের এই অসহায় পরিস্থিতিতে ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মৃত আব্দুল লতিফের পরিবার। রাজিয়া সুলতানা বলেন, ওয়ালটন প্লাজা থেকে পাওয়া এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমরা সবাই ওয়ালটনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। পরিবারের এমন অবস্থায় এই টাকা আমাদের অনেক উপকারে আসবে। দোয়া করি ওয়ালটন আরো অনেক এগিয়ে যাক ও বড় হোক।

ওয়ালটন: দেশের প্রথম গুগল টিভি ম্যানুফ্যাকচারার
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন নওগাঁর খাদিজা

আপনার মতামত লিখুন