বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অর্থনীতি

কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন নওগাঁর খাদিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুন ২০২৩

এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে জাপানি গাড়ি উপহার পেলেন নওগাঁর রাণীনগরের গৃহিণী খাদিজা বিবি। মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় খাদিজা বিবিকে ওয়ালটনের ফ্রিজটি কিনে দিয়েছিলো তার ছেলে আল আমিন। সেই ওয়ালটন ফ্রিজেই বদলে গেলো খাদিজা বিবি এবং তার পরিবারের ভাগ্য। ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮’তে ঘোষিত বিশেষ ক্রেতা সুবিধার আওতায় এই গাড়িটি ফ্রি পেলেন তিনি। ঈদুল আজহার আগে গাড়ি ফ্রি পেয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে খাদিজা বিবির পরিবার।

এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার আনসার বাহিনীর সদস্য শ্রী রতন লাল বাসফোড় এবং ওয়ালটন এসি কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী মাসুদ করিম।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিজন-১৮ তে ‘ওয়ালটন পণ্যে সাজবে বাড়ি, ঈদে এবার নিজের গাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ উপহার। এসব সুবিধা থাকছে ১৫ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত।

সোমবার (১২ জুন, ২০২৩) বিকেলে রাণীনগর আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে খাদিজা বিবির হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. রায়হান, ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন প্রজন্মের নায়ক মামনুন হাসান ইমন।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তোফায়েল আহমেদ, প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজীউর রহমান পিপিএম, রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, কালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব চাঁন এবং একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

জানা গেছে, ৮ সদস্যের পরিবার নিয়ে কালিগাঁও গ্রামে বসবাস খাদিজা বিবির। স্বামী হারিয়েছেন প্রায় ২ বছর আগে। বড় ছেলে আল আমিন একটি পরিবহন কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালাচ্ছেন। পরিবারে একটি ফ্রিজ খুব প্রয়োজন থাকলেও নগদ টাকার অভাবে কিনতে পারছিলেন না। এর মধ্যে ওয়ালটনের কিস্তি সুবিধার কথা জানতে পেরে মা খাদিজা বিবিকে নিয়ে গত ৬ জুন ওয়ালটন প্লাজা আবাদপুকুর থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৪৮ হাজার ৪৯০ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন আল-আমিন। কেনার পর খাদিজা বিবির মোবাইল নম্বর দিয়ে ক্রয়কৃত ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটন থেকে গাড়ি ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায়। যা দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন খাদিজার পরিবার।

গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে খাদিজা বিবির ছেলে আল-আমিন বলেন, গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারেই ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্রিজগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তাই আমিও কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু এতো অল্প টাকা দিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যে এতো দামি একটা গাড়ি ফ্রি পাবো তা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। আজ গাড়ির চাবি হাতে পেয়ে আমাদের আনন্দের সীমা নেই।

ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, ওয়ালটন জনগণের প্রতিষ্ঠান। ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে পোঁছাতে এগিয়ে চলছে ওয়ালটন। তারই একটি পদক্ষেপ এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী সব ক্রেতাকে অনলাইন সেবার আওতায় আনা হচ্ছে। ক্যাম্পেইনে দেওয়া বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি কিস্তি ক্রেতাদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় কিস্তিতে পণ্য কেনার পর ক্রেতা বা পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে তাদেরকে ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি ক্রেতাদের দেওয়া সুরক্ষা কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট সুবিধা পাচ্ছেন।

ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, একটা সময় জাহাজে করে বিদেশি পণ্য দেশে ঢুকতো। আর এখন জাহাজ ভর্তি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ৪০টিরও বেশি দেশে। দেশ স্বাধীন হয়েছিলো অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আর সেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে জনগণের প্রিয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

চিত্রনায়ক ইমন বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করতে এসে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আনন্দটা আজ নিজ চোখে দেখলাম। গাড়ির চাবি হস্তান্তরের পর ওই মায়ের মুখের হাসিটা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। এটা আমার জীবনের এক নতুন অভিজ্ঞতা। ওয়ালটনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ওয়ালটন যে গ্রাহকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে আজকের অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ।

ওয়ালটন প্লাজার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেলো দুই পরিবার
পাঁচ বছরে দেশে এসেছেন প্রায় ২০ লাখ পর্যটক

আপনার মতামত লিখুন