বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

গফরগাঁওয়ে ছাত্রদলকর্মীকে পেটাল ছাত্রলীগ

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
০৭ জানুয়ারি ২০১৮

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সানিয়াত হোসেন নামের এক ছাত্রদলকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। আহত সানিয়াত গফরগাঁও সরকারি কলেজের বিএসসি (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী।

সানিয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের চার বছর পূর্তিতে শুক্রবার ‘ভোটধিকার  হত্যা দিবস’  পালন করে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার গফরগাঁওয়ে ঝটিকা মিছিল করেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এর পরের দিন কলেজে যান সানিয়াত। ছাত্রলীগসকর্মীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসা করে, কেনো বিএনপির মিছিলে গিয়েছিল সে। সানিয়াত বিএনপির মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও, গফরগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হোসেন তানভীর ও সহযোগীরা চড় থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সানিয়াতকে কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের সামনে কানধরে ওঠসব করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, ভবিষ্যতে বিএনপির মিছিলে গেলে আর কলেজে পড়তে দেওয়া হবে না। ছাত্রদল না ছাড়লে কলেজ ছাড়তে হবে।

সানিয়াত গফরগাঁওয়ের পুখুরিয়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জানিয়েছেন, ফের লাঞ্ছিত হতে পারেন এ ভয়ে কলেজে যেতে পারছে না। শত শত শিক্ষার্থীদের সামনে কান ধরে ওঠবস করিয়ে তাকে অপমাণ করা হয়েছে। অভিযোগ করলেও গফরগাঁও থানা পুলিশ তার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়নি। থানায় যাওয়ার কারণে তাকে এখন প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গফরগাঁও ছেড়ে যেতে ফোনে হুমকি পাচ্ছেন। তবে কারা হুমকি দিচ্ছে তা জানেন না বলে দাবি করেছেন সানিয়াত।

পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাব হোসেন তানভীর ছাত্রদল কর্মী সানিয়াতকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সানিয়াত যেনো ভবিষ্যতে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি না করেন, সে জন্য তাকে বড় ভাই হিসেবে বুঝিয়েছেন। গায়ে হাত তোলেননি। কয়েকজন অতি উৎসাহী হয়ে সানিয়াতকে কানে ধরে ওঠবস করায়। তিনি তা বন্ধ করেন বলে দাবি করেছেন মেহরাব।

গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সনিল বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তার দাবি  গফরগাঁওকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ জানুয়ারি ঝটিকা মিছিল করে বিএনপি-জামায়াত। ভবিষ্যতে যারা এমন চেষ্টা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেছেন, ছাত্রদল কর্মী সানিয়াত হোসেন নামের কাউকে মারধর ও লাঞ্ছিত ঘটনা তিনি জানেন না। এমন কোনো অভিযোগ পাননি। থানায় জিডি না নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি। ওসির এ বক্তব্যের পর সানিয়াত ফের জিডি করতে থানায় গেলেও তার অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ।

গুড লাক বাংলাদেশ
মাশরাফির হাতে ট্রফি তুলে দিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি: উদয় হাকিম

আপনার মতামত লিখুন