বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

দৃষ্টিনন্দন আরেক হাতিরঝিল হবে বুড়িগঙ্গা ঘিরে

রাইজিংবিডি অনলাইন
২৩ জুলাই ২০১৯

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর মাধ্যমে  হাতিরঝিলের ন্যায় দৃষ্টিনন্দন করে নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হবে বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে।

প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৫৫ লাখ  টাকা। জুলাইয়ে ( ২০১৯) শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে। নদীর তীরভূমির অবৈধ দখলরোধ, দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, পরিবেশগত উন্নয়ন, হাটার রাস্তা নির্মাণ এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমি দখল করে বুড়িগঙ্গার দুই তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। অন্যদিকে কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ও রাজধানীর সোয়া কোটি মানুষের বর্জ্য পড়ে নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি। ফলে নদীটি আজ মৃত্যুর পথে।

একারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুড়িগঙ্গাকে পুরানো রুপে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর সে নির্দেশনা অনুযায়ী বুড়িগঙ্গাকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকার চারপাশে সার্কুলার  নৌপথ  চালু করে যাত্রি ও মালামাল পরিবহন সহজতর করা হবে। বুড়িগঙ্গাকে হাতিরঝিলের ন্যায় নয়নাভিরাম করা হবে। বুড়িগঙ্গা হবে আনন্দ ও বিনোদনের কেন্দ্র।

প্রকল্প অনুযায়ী অবকাশ যাপনের জন্য নদীর তীরে থাকবে বিলাসবহুল রিসোর্ট, হাঁটার রাস্তা, পার্ক, বসার স্থান, নদীঘাট, পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরী, ভাসমান বিনোদন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁ। সবুজে সবুজে ভরে তোলা হবে নদীর পাড়। দুই পাড়ে থাকবে আধুনিক সাজসজ্জাসহ আলোকসজ্জা। দেশি-বিদেশি ফুল ও সাজবৃক্ষ দিয়ে সাজানো হবে পাড়। কিছু স্থান রাখা হবে খোলামেলা। নদীর দুই পাশে চলাচল করবে উন্নত বাস সার্ভিস।

এ ছাড়া বুড়িগঙ্গার দুই তীর ঘেঁষে থাকবে সিরামিকের তৈরি ওয়াকওয়ে। দর্শনার্থীদের বসার জন্য ছোট ছোট টেবিল। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে থাকবে প্রমোদতরী। সব বয়সের দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে বিনোদন পার্ক। থাকবে তিন তারকা মানের কয়েকটি রিসোর্টও। উন্নত দেশের নদী বন্দরের আদলে সদরঘাটকে (লঞ্চ টার্মিনাল) সাজানো হবে।

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা বলেন, হাতিরঝিলের আদলে বুড়িগঙ্গাকে সাজাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ নকশা প্রণয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বুড়িগঙ্গার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে বুড়িগঙ্গাকে  আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে একটি মাস্টার প্লান গ্রহণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বুড়িগঙ্গাকে হাতিরঝিলের মতো নয়নাভিরাম বা দৃষ্টি নন্দন করা হবে। বুড়িগঙ্গা হবে আনন্দ বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু।

তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীর জায়গা নতুন করে কেউ যদি ভরাট বা দখলের চেষ্টা করেন, সেটা বড় ধরনের ভুল হবে। আগের সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। আমরা যা বলি তাই করি।

ইলিশ কুটুমের বাড়ি
খুব কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ

আপনার মতামত লিখুন