শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ সীমিত করার সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
০১ ডিসেম্বর ২০২০

পরিবেশ-প্রতিবেশ বিবেচনায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ সীমিত করা হলে বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশ বিমুখ হবে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা। শঙ্কার মধ্যে আছেন দ্বীপটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরাও। তারা বলছেন, পর্যটক সীমিত করা হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন পথ থাকবে না। তবে দ্বীপ বাঁচাতে সরকারের সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলছেন সাধারণ দর্শনার্থীরা।

সুনীল আকাশ, সাথে মুগ্ধতা ছড়ানো দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। ঝাউবন, ছড়ানো-ফিটানো প্রবাল। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের আকাশ যেন মিশেছে সমুদ্রের নীল জলে।

তবে গত কয়েক বছর ধরে দ্বীপের ওপর বেড়েছে অত্যাচার। তৈরি হয়েছে নানা স্থাপনা। তাই ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবেশ-প্রতিবেশ। একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি বাঁচাতে ভ্রমণ সীমিত করার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ, রাতে বিচে আগুন জ্বালানো এবং উচ্চ শব্দে গান বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ ব্যবসায়ীরা। সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক কমে গেলে আমাদের ইনকাম কমে যাবে, তখন ক্ষতির সম্মুখীন হবো আমরা। এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে ব্যবসার উপর।

হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, পর্যটক কমে গেলে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের পর্যটন খাত। হোটেল ওনার এসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন্সের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, এখানে সাধারণ পর্যটকরা সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসে। খুব কম সংখ্যক পর্যটকই এখানে থাকে যায়।

তবে সরকারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন দর্শনার্থীরা। তারা জানান, সরকার যেহেতু এটি ঠিক করেছে, নিশ্চয়ই আমাদের ভালোর জন্যই করেছে। তাই আমাদের মতো পর্যটকদের ওইভাবে সিডিউল ম্যান্টেইনই করেই আসতে হবে। এই সিদ্ধান্তটা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য।

সেন্টমার্টিনে এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেন। বর্তমানে দ্বীপটিতে ১০৬টি হোটেল, কটেজ ও ২০টির বেশি রেস্তারাঁ রয়েছে।

কম খরচে ত্রিপুরা রাজ্যে ভ্রমণ
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে ঢাবির ৯ শিক্ষক

আপনার মতামত লিখুন