বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয়

মালদ্বীপ-বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্য পর্যটন একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র

অনলাইন ডেস্ক
১৯ মার্চ ২০২১

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং বিমান ও নৌপথে সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ উভয় দেশের জন্য পর্যটনকে একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের দুটি রাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগাতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান। খবর বাসসের।

এ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর পরে অনুষ্ঠিত নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী রাশিদা খানম এবং মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় তিন দিনের সফরে আগত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সম্মানে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এ নৈশভোজের আয়োজন করেন। 

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে কভিড-১৯ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মালদ্বীপ সরকারের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন পেশায় আরও দক্ষ জনবল মালদ্বীপে প্রেরণে প্রস্তুত রয়েছে। মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও প্রযুক্তির শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আরও বেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মালদ্বীপকে বাংলাদেশ থেকে মেডিসিন, রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি), সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের বাংলাদেশি পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।

প্রেসিডেন্ট সলিহ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিমান ও জল-যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, এটি আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে চলমান অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ইব্রাহিম সলিহ।

পরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি বঙ্গভবনের দরবার হলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপস্থাপিত ২৫ মিনিটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। নৈশভোজে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পর্যটন বিকাশে বান্দরবানে আধুনিক রিসোর্ট চায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী
মুজিবনগরে পর্যটন কেন্দ্র: ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প

আপনার মতামত লিখুন