দেশেই হবে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
সৌদি আরবে প্রবেশে হজযাত্রীদের যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সারতে হয় তা বাংলাদেশেই সেরে ফেলা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যারা হজে যাবেন, তারা যাতে সহজে ভিসা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দেশেই সম্পন্ন করে যেতে পারেন, যাতে হয়রানি কমানো যায়, সেই অনুরোধ তিনি রেখেছিলেন সৌদি মন্ত্রীর কাছে। 'তিনি আমাকে বলেছেন, এই বছর তারা শতভাগ ক্লিয়ারেন্স বাংলাদেশেই করবেন, যাতে কোনো হয়রানি না হয়' বলেও জানান মন্ত্রী।
সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সৌদি আরবের বড় ২০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। হজ যাত্রীদের জন্য সুখবরও দেন মন্ত্রী।
করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর বিদেশিদের জন্য হজ পালনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার।
মহামারীকালের আগে প্রতিবছর ২৫ লাখের মত নারী-পুরুষ হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতেন। যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় এক লাখের বেশি।
যেসব দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ হজ করতে যান, তারা বিশেষ ব্যবস্থায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিজেদের দেশেই করার বন্দোবস্ত করছে। ফলে ওই সব দেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয় না।
ইমিগ্রেশনের ক্লিয়ারেন্স দেশ থেকে সম্পন্ন হলে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
আপনার মতামত লিখুন