শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০২০

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দরকার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক।

বুধবার (১৫ জুলাই) ‘ট্যুরিজম : এ পেনাল্টি শুট ফর দ্যা ইকোনোমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জুম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভ্রমণ ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

কনফারেন্সে তিনি বলেন, দেশের প্রথম হেলিপোর্ট নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। হেলিপোর্টের জন্য উপযুক্ত স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, হেলিপোর্ট তৈরির আনুষঙ্গিক কাজ সম্পাদনে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন পেশ করবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর হেলিপোর্ট তৈরির নানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের পর্যটনের উন্নয়নে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। এ নীতিমালায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হবে যাতে তারা তাদের কাজটুকু সঠিকভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে পর্যটনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। পর্যটনের উন্নয়নে দরকার সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয়। এ সময় তিনি দেশের পর্যটন গন্তব্য সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করায় টুরিস্ট পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, টুরিস্ট পুলিশ ইউনিট গঠন দেশের পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বহুমাত্রিক নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির ফসল।

মহিবুল হক বলেন, পর্যটনের উন্নয়ন ও পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসকদের দৈনন্দিন কাজে পর্যটকদের সহায়তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। জেলা প্রশাসন যাতে পর্যটক সংগঠক হিসেবে কাজ করতে পারে সে জন্যই এ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য উপজেলা পর্যন্ত এ কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা যাতে পর্যটকদের আস্থার জায়গায় তৈরি হয়।

প্রত্যেক দায়িত্বশীল মানুষকে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, দেশের পর্যটন স্পটের ইতিবাচক প্রচারণায় সহায়তার জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি। ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনা ও প্রচারণার মাধ্যমে গণমাধ্যম দেশের পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ভ্রমণ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে জুম কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াজীশ আলী খান, টোয়াবের সভাপতি মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান, এভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. আরিফুর রহমান।

পেকুয়ায় ওয়ালটন প্লাজার যাত্রা শুরু
পর্যটনকে বাঁচিয়ে রাখতে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য

আপনার মতামত লিখুন