বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

রমজানে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ এপ্রিল ২০২২

একদিকে মার্চে শেষ হয়েছে পর্যটন মৌসুম, অপরদিকে চলছে রমজান মাস। এ কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। রমজান শুরু থেকে জনশূন্য হয়ে আছে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো।

তবে ঈদকে সামনে রেখে মেরামত ও নতুন করে সাজসজ্জার কাজ শুরু করেছে অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো। একই সাথে ছাঁটাই করা হয়েছে অনেক কর্মচারীদেরও।

জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক শূন্য। তাই পর্যটন জোন কলাতলীর সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজগুলোর বুকিংও শূন্য। একই সাথে পর্যটন জোনের সব ধরনের খাবার হোটেলেও ক্রেতা না থাকায় বেশির ভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে।

লাইট হাউস কটেজ জোনের কোহিনুর রিসোর্টের পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, একেবারেই বর্ডার শূন্য তার রিসোর্টি। সবগুলো কক্ষ রোজার শুরু থেকে বুকিং শূন্য রয়েছে।

একই কথা জানিয়ে গ্র্যান্ড সেন্ডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক গমন বন্ধ ঘোষণা করায় কক্সবাজারে পর্যটক আগমন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এছাড়া রমজান উপলক্ষে কক্সবাজারে একেবারে পর্যটক নেই। ৯০ শতাংশ হোটেল, মোটেল বুকিং শূন্য রয়েছে।

রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, রমজানে কক্সবাজারে অন্যান্য স্থানে ইফতারি ও সেহরির বেচাকেনা হলেও পর্যটক এলাকায় তা একেবারেই হচ্ছে না। তাই অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। গুটিকয়েক রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে যেগুলোতে স্থানীয় লোকজন ইফতার করতে যায়।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, স্বাভাবিক ভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। তবে এবার পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরণের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য রয়েছে। তবে পর্যটন মৌসুম শেষ হলেও রমজানের পরে ইদে বেশ পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন হয়তো কয়েকদিন ব্যবসা ভালো হবে।

তিনি বলেন, এখন হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোকে নতুন রূপে সাজানোর উপযুক্ত সময়। তাই হোটেলের কক্ষ থেকে শুরু করে বাহ্যিক স্থানগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নতুন করে সাজাচ্ছেন অনেকে।

শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়; রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলো ৯০ শতাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে।

লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, রমজানের পর্যটক না থাকায় বেচাকেনা হয় না। তাই দোকান বন্ধ রাখা রয়েছে। তবে ঈদের পরে ব্যবসার জন্য ২০ রমজানের পর থেকে নতুন করে মালামাল ওঠানোসহ প্রস্তুতি নেয়া হবে।

হোটেল-মোটেল কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজে কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ইদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্ট পাবে তারা।

আগামী বছরের জুনে ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে কক্সবাজার
সুবর্ণচরে অসচ্ছল পরিবারকে ঘর দিল চরজব্বার থানা পুলিশ

আপনার মতামত লিখুন