শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইভেন্ট

খাগড়াছড়ির পর্যটন এলাকায় হোটেল ভাড়া-খাবারের দাম অস্বাভাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ অক্টোবর ২০২২

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুধু বৃহস্পতিবার ছাড়া বুধবার থেকে টানা ছুটির আওতায় রয়েছে। তবে দুর্গোৎসব ঘিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে টানা ছুটিতে। এ সুযোগে দেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় প্রচুর পর্যটক সমাগম ঘটেছে।

চলমান এ ছুটিতে খাগড়াছড়িতে এসেছেন লাখো পর্যটক। জেলার পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের আগমনে মুখরিত।

জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সপ্তাহজুড়ে হোটেল-মোটেল ও কটেজ ভাড়া হয়ে গেছে। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন গাড়ি, হোটেল কক্ষ ভাড়া ও খাবারের দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলায় মহালছড়ির মনারটেক লেক, হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক, দেবতার পুকুর, মানিকছড়ির বনলতা অ্যাগ্রো প্রাইভেট, পুরাতন রাজবাড়ি, পানছড়ির অরণ্য কুঠির, মায়াবিনী লেক, দশবল বৌদ্ধ বিহার, চেঙ্গি নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা, মাটিরাঙার শতবর্ষী বটগাছ, রাবার ড্যাম, আলুটিলার প্রাকৃতিক গুহা, শতবর্ষী য়ংড বৌদ্ধ বিহার, আলুটিলা বৌদ্ধ বিহার, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, উপজেলা প্রশাসন লেক, জলপাহাড়, ভগবান টিলা, রিছাং ঝরনা, রামগড়ের কৃত্রিম লেক, চা-বাগান, কলসি মুখ, দিঘিনালার হাজাছড়া-তৈদুছড়া ঝরনা, প্রতিষ্ঠাকালীন বিজিবির ভাস্কর্যসহ শতাধিক পর্যটন স্পট রয়েছে।

সব পর্যটন স্পটে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। তারা হোটেল-মোটেল ও আত্মীয়দের বাড়িতে উঠেছেন।

হোটেল-মোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, আগামী ৮ অক্টোবর (শনিবার) পর্যন্ত জেলা এবং সাজেকের সব হোটেল-মোটেল ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে। জেলায় ১২০ এবং সাজেকে ১১০টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট আছে। হোটেল-মোটেলগুলোয় থাকার ব্যবস্থা আছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার পর্যটকের। কিন্তু পর্যটক এসেছেন লাখের অধিক। তাই অনেক পর্যটক আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে থাকছেন।

খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, খাগড়াছড়ি ও সাজেকে লাখো পর্যটক এসেছেন। আগামী ১০ দিনের জন্য হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং হয়ে গেছে। শতাধিক গাড়িও বুকিং হয়ে গেছে।

পর্যটকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের হোটেল ভাড়া বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবারের দাম একটু বেড়েছে।

খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মাহবুব আলম ভাড়া বেশি রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি না। বিভিন্ন পর্যটন স্পট পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয়টি যোগ হয়েছে। ফলে কমবেশি সবকিছুর দাম কিছুটা বেড়েছে।

তিনি বলেন, শুধু আমাদের এখানে নয়, সারাদেশের প্রতিটি পর্যটন স্পটেই খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় আমরা কমমূল্যেই সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

পর্যটকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমাদের এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। হোটেল-মোটেল ও পরিবহন ভাড়া বেশি রাখার ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। এরপরও কেউ যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।

তিনি বলেন, পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো আছে জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জেলার প্রত্যেকটি স্পটে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বাড়ছে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ

আপনার মতামত লিখুন