শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

পর্যটন সম্ভাবনাময় ‘শ্বেত পাহাড়’

অনলাইন ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০২০

কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশে সম্ভাবনাময় নতুন দর্শনীয় স্থান ‘শ্বেত পাহাড়’। চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর তীরঘেঁষে পর্যটনকেন্দ্র ‘নিভৃত নিসর্গ পার্ক’; তারই একটি পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘শ্বেত পাহাড়’। সাদা মাটির আকাশছোঁয়া পাহাড়। তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা নদী। সব মিলিয়ে এ পাহাড়টি পর্যটকদের কাছেও বেশ পরিচিত হয়ে উঠছে।

একদিকে পাহাড়ের নৈগর্সিক সৌন্দর্য অন্যদিকে পাহাড় লাগোয়া মাতামুহুরী নদীর বিশাল জলরাশি ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পাহাড়-নদীর এই অপরূপ সান্নিধ্য পেতে এখন মানিকপুর ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা।


বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে রয়েছে নানা পর্যটন স্পট। নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র ‘নিভৃত নিসর্গ পার্ক’। গত শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সেটি উদ্বোধনের পাশাপাশি আকর্ষণীয় বিশাল ওই পাহাড়ের নামকরণ করেছে ‘শ্বেত পাহাড়’ নামে। ইতিমধ্যে যাতায়াত সুবিধা ও নানা অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ওই পর্যটন স্পটের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পর্যটন বিকাশের অপূর্ব সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ওই সময় কামাল হোসেন বলেন, পাহাড়, নদী ও শ্বেত পাহাড় বেষ্টিত এই পর্যটন স্পটকে ভ্রমণের নিরাপদ ও আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ‘সবুজেঘেরা পাহাড়বেষ্টিত আকর্ষণীয় এ পর্যটন স্পটটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, ‘মানিকপুরের পর্যটন জোনকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই আলোকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আমরা সম্প্রতি পর্যটন জোনের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি।’

জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, ‘মাতামুহুরীর কোলঘেঁষে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত নতুন পর্যটন স্পট ‘নিভৃত নিসর্গ পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তরের মাধ্যমে পর্যটনে নতুনমাত্রা যোগ হলো। দুপাশে সু-উচ্চ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা নদীপথ বয়ে গেছে। নৌকাভ্রমণে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে শ্বেতপাথরের বিশাল পাহাড়। এই পাহাড়ের আনাচেকানাচে লুকিয়ে থাকা সব সৌন্দর্যের আধারে পর্যটন বিকাশে জেলা প্রশাসনের নিরবধি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’


এদিকে সবুজেঘেরা এলাকাটি পর্যটন স্পট হিসেবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি ওই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান এবং তারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবেএমনটি প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতন মহলের।

দর্শনীয় পর্যটন জোনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি পর্যটন জোনের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে মানিকপুর পর্যটন জোনকে ঢেলে সাজাতে কাজও শুরু করেছে। এরই মধ্যে পর্যটন জোনটি শৈল্পিক ছোঁয়ায় নতুন রূপ পেতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে উৎসবের আমেজ
পর্যটন নগরীর বাণিজ্য মেলা জমে উঠেছে

আপনার মতামত লিখুন