শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

পর্যটন সম্ভাবনা : কলসি মুখ

নুরুল আলম
১৫ জানুয়ারি ২০২২

রামগড় উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। রামগড়-অযোধ্যা মূল সড়ক থেকে উত্তর দিকে ১ কিলোমিটার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত।

রামগড়ের গর্ব দৃষ্টিনন্দন তীব্র প্রবাহমান খরস্রোতা নদী হলো ফেনী নদী। এ নদীর কূল ঘেঁষে দেখতে অবিকল কলসির আকৃতিতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে “কলসি মুখ।” ১০০ একর (প্রায়) জায়গা নিয়ে গড়া এই “কলসি মুখ”। জায়গার ভিতরটা অবিকল কলসির আদলেই গড়া। আর এ কারণেই গ্রামটি রামগড় এলাকার ব্যাতিক্রমি পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত।

গ্রামটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো প্রায় ৫০টি পরিবারের ৩শত জন অধিবাসী সবাই মারমা সম্প্রদায়ের। তিন দিক থেকে ফেনী নদীর গতিপথ বেষ্টিত গ্রামটি পুরোটাই ভারত গর্ভে। গ্রামটিতে যে কেউ ঢুকলেই মনে হবে যেন ভারতেই আছি। ভারতের বিএসএফ যেন আপনাকে পাহারা দিয়ে রেখেছে।

প্রবেশমুখে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বৈষ্ণবপুর শান্ত গ্রামটি দেখলে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এই গ্রামটি অতিক্রম করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। এজন্য এই বৈষ্ণবপুর গ্রামটি এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী বহন করছে।

শুধুমাত্র একটি ৫০ ফুট রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকতে হয় এবং বের হতে হয়। আর কোনো দ্বিতীয় রাস্তা নেই। চারদিকেই ভারত। গ্রামের প্রবেশমুখে পাহাড়ের উপর স্থাপিত সমতল হতে ৩শত ফুট (প্রায়) বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের লাচারী পাড়া ক্যাম্প থেকে তাকালে মনে হবে এ যেন কোন এক দৈত্যের একটি কলসি রেখেছে (যদি বিজিবি পাহাড়ে উঠার অনুমতি দেয়)। পাহাড়ের উপরে উঠলে মনে হবে এ যেন সিলেটের জাফলং এর পাহাড়।

আবর্জনা দিয়ে সেন্টমার্টিনে মাছের ম্যুরাল
ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট ঘিরে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প

আপনার মতামত লিখুন