শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

জনপ্রিয় হচ্ছে ফেনীর মুহুরী সেচ প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জানুয়ারি ২০২২

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার নিয়ে বসে আছে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সোনাগাজীর মুহুরী সেচ প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এখানে অবস্থিত। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য জোন হিসেবেও এটি ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেছে। বর্তমানে একটি দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। 

প্রকল্প এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পুরো বছরই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পর্যটন কেন্দ্রটি। বিশেষ করে দুই ঈদে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হয়। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এ এলাকায় চিত্তাকর্ষক নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর অসংখ্য দৃশ্য রয়েছে এ এলাকায়। মিরসরাই ও সোনাগাজী এলাকায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনকে ঘিরে দিন দিন এ পর্যটন স্পটটির গুরুত্ব বাড়ছে। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে শুরু হয়ে ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে এই সেচ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়। ফলে ২০ হাজার ১৯৪ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা এবং ২৭ হাজার ১২৫ হেক্টর এলাকা সম্পূরক সেচ সুবিধার আওতায় আসে। মুহুরী সেচ প্রকল্প ঘিরে গত আড়াই দশকে গড়ে ওঠে বিনোদন ও পিকনিক স্পট। মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের পাখির দেখা পাওয়া যায়।

এছাড়া নদীর পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা মায়াবী পরিবেশ। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ও তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই এলাকা। গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তির বাতাসের জন্যও মানুষ এখানে ছুটে আসে। নদীর পানিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। এই সেচ প্রকল্প এলাকায় চারপাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়িও। মুহুরী নদীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাসমান মাছ চাষ, নদীতে জাল ফেলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ, ডেইরি ফার্ম, ব্যক্তিগত পর্যায়ে নার্সারি ও অ্যাগ্রো খামারসহ ইত্যাদি চোখ জুড়ানো দৃশ্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আরেফিন জানান, দর্শনার্থীদের জন্য ছাতা ও বৈঠকখানা নির্মাণ করাসহ এটিকে আরো আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হিসেবে ঢেলে সাজাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এর আকর্ষণ বেড়ে যাবে। ফেনী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আইনুল কবির শামীম জানান, সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্ট বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। পর্যটন করপোরেশন গুরুত্বের সঙ্গে নজর দিলে এটি বাংলাদেশের একটি বড় ধরনের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

সোনাগাজী উপজেলার পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, মুহুরী প্রজেক্ট এলাকাটি পর্যটন ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে পর্যটন করপোরেশন থেকে হোটেল, মোটেল নির্মাণ করলে এবং নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী পুলিশ স্টেশন নির্মাণ করলে পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়ে যাবে। তিনি আরো জানান, প্রতিদিন মানুষের ভিড় থাকলেও সরকারি বন্ধের দিন এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। দোকানপাট, বিশ্রামাগার ও শৌচাগার না থাকায় পর্যটকদের দারুণ কষ্ট হয়। 

ওয়ালটনের ৪ অ্যান্টেনার ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার
সেন্টমার্টিনে বিনোদন বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ পর্যটকরা

আপনার মতামত লিখুন