শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ঘুরে আসি

সিকিমে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড়

অনলাইন ডেস্ক
২৫ আগস্ট ২০২২

আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি জায়গা হল সিকিম। শুধুমাত্র ভারত নয় দেশের বাইরে থেকেও অগণিত পর্যটক প্রতি বছর এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন।

সিকিমে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে অন্যতম হল গ্যাংটক, লাংচু, পেলিং প্রভৃতি জায়গা গুলি। এতদিন সিকিমের উপত্যকায় বিদেশি পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।

আগের থেকে অনেকাংশে বাড়ছে বাংলাদেশী পর্যটকদের সংখ্যা। বাংলাদেশ থেকে সিকিমে আসতে গেলে দুর্গম পাহাড়ি পথ পেরিয়ে আসতে হয় শিলিগুড়ি। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সড়ক এবং রেল যোগাযোগের মাধ্যমে খুব দ্রুত যাতায়াত করা যায়। ঢাকা বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়িতে পৌঁছানো যায় কিংবা সড়ক পথ বা মিতালি এক্সপ্রেসে করে বাংলাদেশী পর্যটকরা শিলিগুড়ি পৌঁছাতে পারেন। সিকিমের সেভেন সিস্টার ঝর্ণা কিংবা সুন্দর উপত্যকা বারংবার বিদেশীদের নজর কাড়ে। মে, জুন, জুলাই এই তিন মাসেই প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশী পর্যটক সিকিম ভ্রমণে এসেছেন।

দুই দেশের মধ্যে যাতে পর্যটন ব্যবস্থা আরো উন্নতি করতে পারে সেই নিয়ে শিলিগুড়িতে আন্তসীমানা পর্যটন আলোচনায় বেশ কয়েকটি দাবি উঠে আসে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ঢাকা-বাগডোগরা ফ্লাইট। ভারত এবং বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছে, এই ফ্লাইট পর্যটকদের জন্য বেশ দরকার। পাশাপাশি ভিসার ক্ষেত্রেও সরলীকরণ আনতে হবে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, শুধুমাত্র সিকিম নয় হায়দ্রাবাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তেলেঙ্গানার মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চান। ঢাকা-বাগডোগরা ফ্লাইট আঞ্চলিক পর্যটনের জন্য ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাই ঢাকা-বাগডোগরা সরাসরি ফ্লাইট চান।

সিকিমে যাওয়ার সবথেকে আদর্শ সময় হল ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। কারণ শীতকালে বরফে রাস্তা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও উত্তর সিকিমে সারা বছরই কম বেশি ধস দেখা দেয় অপরদিকে বর্ষায় সিকিমের বহু জায়গায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম সিকিম এবং গ্যাংটকে সারা বছরই যেতে পারেন। যদি বাংলাদেশ থেকে সিকিম আসতে হয় তাহলে প্রথমে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা যেতে হবে। এখানে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন শেষ হলে ইন্ডিয়ান বর্ডারের ইমিগ্রেশন শেষ করে অটোতে ফুলবাড়ী বাস স্ট্যান্ড পৌঁছাতে হবে। এখান থেকেই বাসে করে পৌঁছানো যাবে শিলিগুড়িতে। এছাড়াও ঢাকা থেকে সরাসরি শিলিগুড়িতে আসা যাবে মিতালি এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।

ওয়ালটন কাপ বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বরে
পুকুর ভর্তি সিলেট মাজারের সদৃশ গজার মাছ

আপনার মতামত লিখুন